Health Minister on Covid-19: কোভিড শেষের পথে হলেও, নতুন রূপগুলি নিয়ে ভয় থেকে যাচ্ছে! আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

২০১৯ সালের শেষ থেকে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা পৃথিবী প্রত্যক্ষ করেছেন, তার রেশ এখনও কাটেনি। করোনাভাইরাসের অতিমারির মতো এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা সারা পৃথিবীতে এর আগে হাতেগোনাই ঘটেছে। যদিও সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী এবং বহু দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কেটে গিয়েছে ভয়ও। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়।

(আরও পড়ুন: করোনা টিকার কারণে মাত্র ৫২ বছরে মৃত্যু ওয়ার্নের? বিস্ফোরক দাবি বিশেষজ্ঞদের)

২০২০ সালের গোড়া থেকেই ভারতের হুহু করে বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তার পর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষের বেশি মানুষের। কিন্তু পাশাপাশি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির তৎপরতায় টিকাকরণ চলেছে ব্যাপক হারে। আর তার ফলেই করোনা এসেছে নিয়ন্ত্রণে। হালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও বলা হয়েছে, করোনা নিয়ে যে মারাত্মক উদ্বেগ ছিল, তা আর নেই। ফলে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ভারতে বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা এই নিয়ে কী ভাবছেন? সম্প্রতি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এই প্রসঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। করোনা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেছেন সেখানে। 

(আরও পড়ুন: করোনা টিকার জেরে হার্ট-অ্যাটাক হয়েছে কমবয়সিদের? শীঘ্রই রিপোর্ট প্রকাশ করবে ICMR)

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা প্রায় এনডেমিক পর্যায়ে এসে গিয়েছে। কী এই এনডেমিক পর্যায়? যখন কোনও ভাইরাস থিতু হয়ে যায়, তার সংক্রমণ আর বিপুল মাত্রায় বাড়ে না, যখন তাকে নিয়ে আর বিশেষ উদ্বেগ থাকে না— তখন মোটের উপর একে এনডেমিক বলা যেতে পারে। 

এনডেমিক মানে কি এই ভাইরাস সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে? না, একেবারেই তা নয়। বরং এই ভাইরাস বহাল তবিয়তেই থাকবে। কিন্তু এটির সংক্রমণের তীব্রতা আর থাকবে। এই ভাইরাসে কেই আক্রান্ত হলে, তিনি ভুগবেন কম। কারণ এর রোগ প্রতিরোধ বেশির ভাগ মানুষের শরীরের তৈরি হয়ে যাবে। একেই বলা হয় এনডেমিক পর্যায়। 

(আরও পড়ুন: করোনার টিকার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক থাকতে পারে কি? কী বলছেন চিকিৎসক)

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা প্রায় এনেডমিক পর্যায়ে চলে গেলেও, এর উপর থেকে কড়া নজরদারি এখনই সরানো যাবে না। সারা ক্ষণই সতর্ক থাকতে হবে। সেটি কেন? এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের ২০০-রও বেশি ভ্যারিয়েন্ট বা রূপ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টগুলির কোনও কোনওটি মারাত্মক আকার নিয়েছে, কোনও কোনওটি তুলনায় দুর্বল হয়ে থেকেছে। আগামী দিনে করোনা আরও নতুন নতুন রূপের চেহারা নেবে। এই বিষয়ে প্রায় কোনও সন্দেহই নেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে। এবং তার মধ্যে কোনওটি যে আবার নতুন করে মারাত্মক আকার নেবে না, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেই কারণেই ভারতের বিজ্ঞানীরা এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) আপাতত বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না— এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।