Pakistan bans Holi in Universities: বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ হোলি! পাকিস্তানে এই ফরমানের নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য?

পাকিস্তানের কোয়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সদ্য ক্যাম্পাসে হোলি খেলেন। গত ১২ জুনের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপরই পাকিস্তানের হায়ার এডুকেশন কমিশন সদ্য এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে যে, সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে খেলা যাবেনা হোলি। পড়ুয়াদের এই উৎসব ক্যাম্পাসে পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যাতে ‘সামাজিক ও সাংস্কৃতিক’ মূল্যবোধগুলি ধরে রাখা যায়, তার জন্যই একথা বলা হয়েছে, বলে নির্দেশিকা জানিয়েছে।

একটি নোটিসে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক ও সাংস্কৃতিক’ মূল্যবোধ পালন করতে পড়ুয়ারা যেন এই অনুষ্ঠান ক্যাম্পাসে পালন থেকে বিরত থাকেন। কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘ এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং দেশের ইসলামি পরিচিতির অবক্ষয়।’ উল্লেখ্য, ‘দেশের ইসলামি পরিচিতির অবক্ষয়’ কেই মূল কারণ হিসাবে ধরা হয়েছে এই নির্দেশের নেপথ্য কারণ হিসাবে। নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘ যদিও এই সত্যকে অস্বীকার করার কিছু নেই যে সাংস্কৃতিক, জাতিগত এবং ধর্মীয় বৈচিত্র্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহনশীল সমাজের দিকে নিয়ে যায় যা গভীরভাবে সমস্ত ধর্মকে সম্মান করে।’ এরপর বলা হয়েছে, ‘ ছাত্র-ছাত্রীদের সেই স্বার্থপরতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে যারা পরোপকারী সমালোচনামূলক চিন্তার দৃষ্টান্ত থেকে দূরে তাঁদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে।’ 

উল্লেখ্য, কয়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা কমিশন প্রচ্ছন্নভাবে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ঘটনা পাকিস্তানের ভবমূর্তিকে ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে বলেও জানানো হয়েছে। বিষয়টি ‘উদ্বেগের’ বলে নাম না করে উল্লেখ করে কমিশন। এদিকে, এই মাসের মাঝামাঝি, কোয়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখা যায়, একদল পড়ুয়া হোলি খেলায় মত্ত হয়েছেন। যদিও এই হিন্দুরীতি শাস্ত্র মতে সেই দিনের তিথিতে ছিল না। তবে ক্যাম্পাসে এই খেলার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এই অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মেহরান স্টুডেন্টস কাউন্সিল দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যা নিয়ে ওঠে বহু প্রশ্ন। কতারপরই আসে পাকিস্তানের হাইয়ার এডুকেশন বোর্ডের তরফে আসে এই ফরমান।