Sonali Guha on Abhishek Banerjee: অভিষেককে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করতে পারবে না, কেন এমন দাবি সোনালী গুহর?

দুর্নীতি নিয়ে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালী গুহ। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী সাম্প্রতিক কালে দলে সক্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রীকেই। এবার তাঁর নিশানায় দলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’। তাঁর দাবি, যতই চেষ্টা করুক সিবিআই অভিষেককে গ্রেফতার করতে পারবে না।

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রা চলাকালীনই তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মামলায় তাঁকে সাড়ে নঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। কিন্তু নিজের কর্মসূচির কথা জানিয়ে হাজিরা এড়ান। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

অভিষেককে গ্রেফতারির দাবি করেও সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের গ্রেফতারি দাবি প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিট্যালের কাছে তাঁর ভিন্ন মতের কথা জানালেন সোনালি গুহ। তিনি বলেন, ‘অভিষেককে গ্রেফতার করা যাবে না। খুব চালাক। পরিকল্পিত ভাবে দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতির কোনও টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নেই। বিনয় মিশ্র পালিয়েছে। কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হয়েছে। সব জায়গায় কোটি কোটি জড়িত হলেও অভিযেকের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢোকেনি। সেই কারণেই উনি জোর গলায় বলছেন, দুর্নীতি প্রমাণ হলে ফাঁসির দড়ি গলায় পরব।’

সোনালীর আরও সংযোজন, ‘ওঁর সঙ্গী কেউ বা স্ত্রীকে গ্রেফতার করলে কিছুটা হেনস্থার মুখে পড়তে পারেন। কিন্তু অভিষেক গ্রেফতার করা মুশকিল। উনি পরিকল্পিত ভাবে দুর্নীতি করছেন।’

(পড়তে পারেন। অভিষেককে সঙ্গে নিয়েই যাবেন মমতা, পটনায় বিরোধী জোটের বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ)

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রার সমাপ্তিতে কাকদ্বীপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিষেক ২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে।’ তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘এটা একটা মিথ্যাচার। দু’বছর বয়েসে কেউ রাজনীতি করতে পারে? একবার মাথায় আঘাত লেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সময় তিনি দিদিকে দেখতে যান। পরে মমতাদি বাড়ি ফিরে আসার পর উনি কংগ্রেস পাতাকা নিয়ে খেলার ছলে বলেছিলেন দিদিকে মারল কেন জবাব দাও। এটা কি রাজনীতি?’

কী বলছে তৃণমূল

এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা বলেন,’সোনালী গুহ যখন এতটাই জানেন সিবিআইয়ের উচিত ওঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার। উনি যখন এতো কিছু বলছেন নিশ্চয়ই ওঁর কাছে তথ্য প্রমাণ করেছে। তা সবই কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া উচিত। আসলে দলের কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এই সব ব্যক্তি আক্রমণ করছেন।’