Facilities for general coaches: জেনারেল কামরার যাত্রীদের জন্য সুখবর, একাধিক প্রস্তাব দিয়ে চিঠি লিখল রেলবোর্ড

নেহা এলএম ত্রিপাঠী

জেনারেল কামরার যাত্রীদের জন্য় খুশির খবর। তাঁদের কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য আনতে এবার নতুন কিছু প্রস্তাব দিল রেলওয়ে বোর্ড। রেলের জোনাল হেডদের কাছে এই নতুন নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা গত ১৯ জুন একটি চিঠি দিয়েছিলেন।

তিনি সমস্ত জোনের রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে জেনারেল কামরায় যে বসার ব্যবস্থা রয়েছে তা এই মাসের শেষের মধ্য়েই খতিয়ে দেখতে হবে।

প্রসঙ্গত ট্রেনের একেবারে সামনের দিকে ও একেবারে শেষের দিকে জেনারেল কামরা থাকে। কিন্তু সেই কামরাতে একেবারে উপচে ওঠা ভিড়। অত্যন্ত কষ্ট করে তাদের যাতায়াত করতে হয়।

তবে সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেনারেল বগিতে যেভাবে ভিড় হয় সেটা নিয়মিত খতিয়ে দেখা দরকার। এই মাসের শেষের মধ্য়ে এটা করা দরকার। এনিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এদিকে জেনারেল কামরায় কীভাবে মানুষ যাতায়াত করে তার ছবি সম্প্রতি সামনে এসেছে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, জেনারেল বগিতে যারা ভ্রমণ করছেন তাদের যাতে প্রাথমিক কিছু পরিষেবা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা দরকার। ট্রেনগুলিতে ও স্টেশনে যাতে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে সেব্যাপারেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেনারেল কোচে যাতে অনবোর্ড হাউসকিপিং স্টাফ থাকে সেটার অনুরোধও করা হয়েছে। বলা হচ্ছে এমন স্টাফ রাখা যেতে পারে যাতে তারা একটা দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে। তারপর আবার ফিরে আসতে পারে।

এমনকী দূরপাল্লার ট্রেন যখন থামবে তখন জেনারেল কামরার সামনে যাতা জলের প্যাকেট ও সস্তায় খাবার বিক্রির ট্রলি থাকে সেটার ব্যাপারেও সুপারিশ করা হয়েছে। জেনারেল বগির সামনে প্লাটফর্মে যাতে পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে সেটা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে চিঠিতে।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শেষ পর্যন্ত এই সব সুপারিশ বাস্তবে কতটা প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে যাত্রীদের একাংশের মতে, যারা দূরপাল্লার ট্রেনের জেনারেল কামরায় গিয়েছেন তারাই জানেন পরিস্থিতিটা ঠিক কোন জায়গায় গিয়েছে। একেবারে ঠাসাঠাসি ভিড়। শৌচাগারের মধ্যেও যাত্রীরা ঢুকে পড়েন। সেক্ষেত্রে স্টেশনে থামলে ট্রেন থেকে নামাটাই একটা দুর্বিষহ ব্যাপার। তিল ধারণের জায়গা থাকে না কামরায়।