Big update on National Pension System: পেনশন নিয়ে কি নতুন সিদ্ধান্ত হল? সব জল্পনার অবসান, সত্যিটা জানাল অর্থমন্ত্রক

National pension scheme। ন্যাশানাল পেনশন স্কিমের আওতায় যে সমস্ত কর্মীরা রয়েছেন তাদের জন্য় কি নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশনের ব্য়াপারে ঘোষণা করেছে সরকার? এনিয়ে নানা রিপোর্ট সামনে আসছিল। তবে অর্থমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে এই ধরনের খবরের কোনও সত্যতা নেই। অর্থ সচিব টিভি সোমানাথনের নেতৃত্বে একটি প্যানেল শেষ পর্যন্ত কোনও উপসংহারে পৌঁছয়নি। এখনও পর্যন্ত তাঁরা বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছেন। টুইট করে জানিয়েছে মন্ত্রক।

মন্ত্রকের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, অর্থ সচিবের চেয়ারম্যানশিপে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। গত বাজেট সেশনের ঘোষণা মোতাবেক এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা এখনও প্রক্রিয়াগত পর্যায়ে রয়েছে। তবে এনিয়ে কমিটি এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি।

সেই সঙ্গেই টুইট করে জানানো হয়েছে কিছু সংবাদপত্রে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেটা মিথ্য়ে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল এনপিএসের আওতায় নির্দিষ্ট হারে পেনশন দেওয়া হবে।

 

সূত্রের খবর, গত এপ্রিল মাসে সরকার দেশের পেনশন স্কিম সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে আসার জন্য একটি রিভিউ প্যানেল তৈরি করেছিল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, পেনশন সিস্টেমের পরিবর্তনের জন্য সরকার চেষ্টা করবে। এটা কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই অনুসরণ করতে পারবে। দেশের মধ্য়ে যে বিভিন্ন ধরনের পেনশন স্কিম রয়েছে তাকে একটি ছাতার তলায় নিয়ে এসে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচছে।

এজন্য কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রধান হলেন অর্থ সচিব টিভি সোমানাথন। এমনকী পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই প্যানেলের অংশ হিসাবে কাজ করছে।

বহু অবসরপ্রাপ্ত মানুষ তথা কর্মরতরা আশায় আশায় রয়েছেন এই কমিটি পেনশন সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানাবে। আসলে ২০০৪ সালে যে পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছিল তা নিয়ে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বিরোধীদের একাংশ পুরানো পেনশন স্কিমে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই পুরানো পেনশন স্কিম অনুসারে পুরোটাই দেবে সরকার। এর মধ্য়ে কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা কাটার কোনও ব্যাপার নেই।

কিন্তু একাধিক রাজ্য এই ওল্ড পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সার্বিকভাবে এটা ফিরিয়ে আনা হবে কি না তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।