Raju Jha murder: রাজু ঝাঁ খুনে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ, আপাতত তদন্ত করবে সিট

কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে আপাতত সিটের ওপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে আরও ব্যাখ্যা করতে হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই বলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ।

শক্তিগড়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল কয়লা ব্যবসায়ী তথা কয়লা মাফিয়া রাজুকে। তা নিয়া মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সপ্তাহখানেক আগে এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিআইকে সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট দিতে হবে। ১০ জুলাই সিঙ্গল বেঞ্চে ফের এই মামলার শুনানি হবে। অর্থাৎ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে পুনরায় সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি পাঠিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় তদন্ত করছিল সিট। সিবিআই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায় আপাতত পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বেই সিট এই খুনের ঘটনার তদন্ত করবে।

আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা নির্দেশে বলেছিলেন, এই খুনের ঘটনা কয়লা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আগে থেকেই সিবিআই কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে। তাই সিবিআই এই মামলার তদন্ত করবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।প্রসঙ্গত, ১ জুলাই খুন হয়েছিলেন রাজু ঝা। সেই ঘটনায় বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে মোট ১২ জনের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। সেই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সিট।

যদিও কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ সিটকে তদন্তের অগ্রগতি করতে বলেছিল। সিটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল আব্দুল লতিফ নামে একজন। সেই ব্যক্তি কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত কারণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। তার পরেই কোন সংস্থা তদন্ত করবে তা ঠিক করবে কলকাতা হাইকোর্ট।