CoWIN Data leak: কোভিডের পোর্টাল হ্য়াক, বিহারের যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল কো উইনের পোর্টালের তথ্য় পাচারের মামলায়  বিহার থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি টেলিগ্রামের মাধ্যমে এই তথ্য় পাচার করত বলে অভিযোগ। হিন্দুস্থানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্তর মা একজন স্বাস্থ্যকর্মী। এই ঘটনায় একজন নাবালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এদিকে গত ১২ জুন কোইউন প্লাটফর্মে তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। এরপর সরকারি তরফে দাবি করা হয় কোইউন পোর্টালে যে ডেটা রয়েছে তা একেবারে সুরক্ষিত। সেখান থেকে কোনও কারচুপি হয়নি। সেই সঙ্গে বলা হয় দেশের নোডাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি এই গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেছে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়,  এনিয়ে বিভাগীয় ক্ষেত্রেও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর বিরোধীরা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তারা দাবি তোলেন সরকারকে এনিয়ে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেন, এটা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ঘটনা। কিন্তু সরকার এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। 

এরপর মিনিস্টার অফ স্টেট ফর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়ে দেন, কোভিড অ্য়াপ বা ডেটাবেসে সরাসরি কারচুপি করে চুরি করা হয়েছে ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে কো উইন পোর্টালে তথ্য চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ এসেছে। কোভিড ১৯য়ের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যক্তিদের তথ্য় ছিল সেখান থেকে চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সমস্ত রিপোর্টই ভিত্তিহীন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যে কোউইন পোর্টাল রয়েছে তা একেবারে সুরক্ষিত। 

তবে সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে একটি টেলিগ্রামের সূত্রকে ব্যবহার করে কোইউন পোর্টালে ঢুকে সেখান থেকে তথ্য চুরি করা হয়েছিল। সেখানে বাসিন্দাদের লিঙ্গ, জন্মতারিখ, আধার কার্ডের নম্বর, ভ্য়াকসিন দেওয়ার সেন্টারের নাম উল্লেখ করা ছিল। অভিযুক্ত যুবককে তার বিহারের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল গত সপ্তাহে কোনও টেলিগ্রাম বট ব্যবহার করে কো উইনের তথ্য চুরি করা হয়নি। তবে দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে এই ধরনের কারচুপি কারা করেছে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য় জানাতে। 

পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মনে করা হচ্ছে মায়ের সহায়তায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে যুবক।  তবে সে তথ্য বিক্রি করেনি।  সে সিস্টেম হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল। আর তাতে সফল হয়েছে সে। যখন সে বুঝতে পারে সে সব তথ্য় অনলাইনে দিতে পারছে তখন সে সেটা করে। তবে তার অন্য মতলব ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।