Cyber Fraud in name of President: ‘আমি ফেসবুক বেশি ব্যবহার করিনা, নম্বর দিন’, রাষ্ট্রপতির নাম করে সাইবার অপরাধ, কোথায়?

রাষ্ট্রপতির নামে তৈরি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। আর সেই গ্রুপ থেকে চাওয়া হচ্ছে টাকা। ঘটনা ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের। জামশেদপুরের বিজেপি নেতা মেরাজ আহমেদ এই ঘটনায় টাকা খোয়াতে খোয়াতে বেঁচে গিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, বুধবার রাতে মেরাজ আহমেদের ৪ থেকে ৫ বন্ধুকে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করে এই টাকা চায় প্রতারকরা। পরে ঘটনা জানা যায় পুলিশের দ্বারস্থ হতেই।

জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের খপ্পরে পড়ে যান ওই বিজেপি নেতা। প্রথমে ফেসবুকে একটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামের গ্রুপে লাইক করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তারপর তাঁর কাছে আসে একটি মেসেজ। সেখানে লেখা,’আমি ফেসবুক বেশি ব্যবহার করিনা.. তাই মোবাইল নম্বর দিন।’ তারপর মেরাজ দিয়ে দেন তাঁর ফোন নম্বর। তারপর তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে পড়েন। সেই গ্রুপে মেরাজকে সংযুক্ত করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে একটি ওটিপি এসেছিল মেরাজের ফোনে। এরপর মেরাজ আহমেদের বন্দুদের কাছে ফোন যেতে শুরু করে। যেখানে মেরাজের দাবি, তিনি কাউকে ফোন করেনইনি! তারপরই সন্দেহ বাড়ে। 

( Video: সবুজ হিরে, রুপোর গণেশ, বাইডেন দম্পতিকে আরও যা উপহার দিলেন মোদী)

এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মেরাজ। আগে করে দেন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ডিলিট। তবে এই ঘটনা থেকে কারোর আর্থিক পরিস্থিতির কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ড বহুদিন ধরেই সাইবার ঠগীদের আঁতুর ঘর বলে জানা যায়। এককালে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে সাইবার ক্রাইমের পর পর ঘটনা জামশেদপুরে উঠে আসে। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া বেশ খানিকটা পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে এই সাইবার সংক্রান্ত কুকীর্তিতে জড়িতদের জেরে। ফোন করে টাকা আত্মসাৎ করার জাল এই এলাকা থেকে বহু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।