Kedarnath gold controversy: গর্ভগৃহে সোনা কোথায় এটা তো তামা! কেদারনাথের বিতর্কে ঘি ঢালল কংগ্রেস

কেদারনাথের গর্ভগৃহে সোনার প্রলেপ  নিয়ে বিতর্কে কার্যত ঘি ঢালল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা মুসৌরিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। হাইকোর্টের একজন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। 

তবে বদ্রিনাথ কেদারনাথ টেম্পল কমিটি এই সব অভিযোগকে একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের বদনাম করার জন্য় এটা করা হচ্ছে বলেও তাদের দাবি। 

ঠিক কী নিয়ে এত তুলকালাম? 

আসলে কেদারনাথ ধামের কিছু পুরোহিত অভিযোগ তুলেছিলেন কেদারনাথের ভেতরে সোনার আবরণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। গর্ভগৃহের একাংশের সেই সোনার পাতের ক্ষতি হয়েছে বলে একটি ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছিল। 

এদিকে কংগ্রেস এদিন বিজেপি সরকারের কুশপুতুল দাহ করে। দেরাদুন মহানগর কংগ্রেস সভাপতি যশবিন্দর গোগি বলেন, কেদারনাথের গর্ভগৃহে সোনার পাতে মুড়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু পুরোহিতরাই বলছেন সোনা নয়, তামার পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এতে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। 

রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতি করণ মোহরা জানিয়েছেন, তবে গর্ভগৃহে এসব বসানোর আগে কোনও পরীক্ষা বা যাচাই হয়েছিল কি না সেটা দেখা দরকার। 

এদিকে কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারির খবর রটতেই পর্যটন মন্ত্রী সৎপাল মহারাজ তদন্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে হাইকোর্টের একজন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তুলেছে কংগ্রেস।

দেরাদুন মহানগর কংগ্রেস সভাপতি যশবিন্দর গোগি বলেন, হাইকোর্টের একজন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্ত করতে হবে। কারণ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বলে আর কিছু নেই।তাদের দাবি সোনার জায়গায় তামা দিয়ে আবরণ দেওয়া হয়েছে। এটা মানা যায় না। 

প্রাক্তন বিকেটিসি সভাপতি তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি গণেশ গোড়িয়াল জানিয়েছেন কেদারনাথে পুরোহিতরাই বলছেন নকল সোনা দিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহ মুড়ে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে যে ব্যবসায়ী ২৩ কেজি সোনা দিয়েছিলেন তার করছাড়ের সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তা নিয়েও তদন্ত করা দরকার। 

এদিকে বিজেপির দাবি, সবটা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হিন্দুদের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস। বিজেপির মুখপাত্র সুরেশ যোশী বলেন, ওই দাতাই বদ্রীনাথের পিলার ২০০৫ সালে সোনায় মুড়ে দিয়েছিলেন। কংগ্রেস আমলেই সোনা দান করেছিলেন। কিন্তু তখন আপত্তি ছিল না। কর্তৃপক্ষ জুয়েলার ও আর্কিওলজিকাল বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছে। 

বিজেপির দাবি, সব মিলিয়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস বলছে হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আসলে ওরা রাজনীতি করছে। ভক্তদের আবেগে আঘাত দিচ্ছেন ওরা।