Viral post: ফ্ল্যাটের চাকর-বাকরদের দিকে চোখ গেলে ‘ভদ্রলোক’দের নাকি খুব অসুবিধা হয়! Viral আজব নোটিশ

রোজই তাঁরা বাড়ি বাড়ি কাজ করতে আসেন। কারও বাড়ি রান্নার কাজ তো কারও বাড়ি ঘর মোছার কাজ করেই দিন চলে তাঁদের। বাড়ির নিত্য দরকারি কাজগুলি করে দেওয়ার পরেও নানা কথা শুনতে হয় তাঁদের। সাধারণ গেরস্থ বাড়ি তো বটেই, হাল আমলে বাদ যাচ্ছে না বিভিন্ন ফ্ল্যাটবাড়ি ও কমপ্লেক্সও। সরাসরি কিছু না বললেও তাঁরা নানারকম নির্দেশিকা জারি করে থাকেন। শুধু তাই নয়, গৃহ পরিচারিকা ও অন্যান্য কাজের কর্মীদের সেই নিয়ম কানুন মেনেও চলতে হয়। না মানলে দেখা দেয় কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কা। সম্প্রতি, তেমনই একটি নির্দেশিকার ছবি ভাইরাল হল নেটদুনিয়ায়। নির্দেশিকাটি একটি কমপ্লেক্সের তরফে জারি করা হয়েছে। তার বয়ানকে ঘিরেই রীতিমতো উত্তাল হল নেটদুনিয়া।

আরও পড়ুন: হাত ধরাধরি করে তুলতে হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে, যোগ দিবসের দিন কী হল হঠাৎ

আরও পড়ুন: ডারউইন কি সত্যিই বাদ? সিলেবাস বিতর্কে কী বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী

বেঙ্গালুরুর একটি কমপ্লেক্সের তরফে জারি করা ওই নোটিসে বলা হয়েছে, গৃহ পরিচারিকা ও অন্যান্য কর্মীরা কমপ্লেক্সের কমন এরিয়াতে ঘোরাফেরা করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত পার্ক, অ্যাম্ফিথিয়েটারসহ যে যে এলাকায় কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা ঘোরাফেরা করেন, সেখানেই তাঁদের যেতে বারণ করা হয়। বলা হয়, ‘কাজের ফাঁকে সবারই একটু বিশ্রাম নিতে লাগে বা খাওয়াদাওয়া করে নিতে হয়, তবে তার জন্য ব্যবহার করা যাবে না এমন কোনও এলাকা’। বরং কোন এলাকা ব্যবহার করা যাবে তার একটি পরামর্শ দেওয়া হয় নোটিসে। জানানো হয়েছে, অপেক্ষা করার ঘরেই (ওয়েটিং রুম) এই সময়টা কাটাতে হবে।

ঠিক কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে গৃহ পরিচারিকা ও ঠিকাকর্মীদের উপর? সে কথাও লিখে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। কর্তৃপক্ষের দাবি, পার্ক, অ্যাম্ফিথিয়েটারে ঘোরাঘুরি করলে কমপ্লেক্সের সাধারণ বাসিন্দারা অস্বস্তিতে পড়েন। সেই সমস্যা কাটাতেই অপেক্ষা ঘরে বসার উপায় বাতলে দেওয়া হয়েছে। নোটিসটি এতেই শেষ হয়নি। এর পর একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে জানানো হয়, রিসেপশনের সোফায় পরিচারিকারা নিয়মিত বসেন বলে কমপ্লেক্সের কেউ সেখানে বসতে পারেন না। এই উদাহরণ দেখিয়েই বলবৎ করা হয় নয়া নির্দেশিকা।

গৃহ পরিচারিকাদের আজব কাজ করতে নির্দেশ

(Twitter)

নোটিসটির এমন বয়ান দেখেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সমাজ মাধ্যম। শ্রেণিবৈষম্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই নোটিসটির বিরুদ্ধে। নোটিসটির লেখা প্রকাশ্যে আসতেই নানাভাবে নেটিজেনরা সরব হন এর বিরুদ্ধে। অনেকে পোস্টের তলায় কমেন্ট করেন, শিক্ষিতদের মধ্যেও এই অসভ্যতাগুলি রয়ে গিয়েছে দেখলে অবাক লাগে। যাঁর পোস্ট ভাইরাল হয়, তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘ক্লাস আর ক্লাসিস্টের মধ্যে এরা গুলিয়ে ফেলছে।’ অনেকে আবার লেখেন, ‘এঁরাই যখন আপনার বাড়ি রান্না করে দেন, ঘর মুছে দেন, তখন কেন সমস্যা হয় না আপনাদের।’