Missing Titanic submarine: টাইটানিক দর্শনের ডুবোজাহাজের কোন পরিণতি? তল্লাশি এলাকায় মিলল কীসের ‘ধ্বংসাবশেষ’

রবিবার থেকে খোঁজ মেলেনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজ ‘ওশেন গেট’ এর ‘টাইটান’ এর। এরপর আটলান্টিকের অতল জুড়ে শুরু হয় খোঁজ তল্লাশি। এরপর, বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে, সমুদ্রের যে জায়গায় খোঁজ চলছিল, সেখানে মিলেছে ‘ধ্বংসাবশেষ’। তবে সেই ধ্বংসাবশেষ কীসের, তা এখনও নির্ধারিত নয়।

লক্ষ্য ছিল ১১১ বছর পুরনো ‘আরএমএস টাইটানিক’ এর ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের অতলে দেখার। সেই লক্ষ্যে ‘ওশেন গেট’ সংস্থার ‘টাইটান’ জুবোজাহাজ পাঁচ অভিযাত্রীকে নিয়ে রওনা দিয়েছিল আটলান্টিকের অতলে। এই সফরের জন্য মাথা পিছু টিকিট ছিল ২ কোটি টাকারও বেশি। ওই সফরে ছিলেন তাবড় পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান। পাইলটের কেবিনে ছিলেন ‘ওশেনগেট’ এর সিইও স্টকটন রাশ ছিলেন, টাইটানিক বিশেষজ্ঞ ফরাসি নৌবাহিনীর প্রাক্তন ডুবুরি হেনরি নারজিওলেট। এই ডুবোজাহাজের খোঁজে মার্কিনি বায়ুসেনা থেকে শুরু করে মার্কিন নৌসেনা তল্লাশিতে নেমেছিল। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করে যে, এই যে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চলেছে, সেখানে সমুদ্রের নিচ থেকে কিছু একটা শব্দ শোনা যায়। এছাড়াও আশঙ্কা ছিল বহু। বিশ্বের তাবড় নামি দামি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চলা এই ডুবোজাহাজে অক্সিজেন ফুরিয়ে আসছিল। জানা যায়, রবিবার এই ডুবোজাহাজের সঙ্গে কমান্ড শিপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর থেকে মার্কিন নৌসেনা ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়।

এদিকে, মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, যে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছিল, সেখানে কিছু ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন মিলেছে। যা এই ঘটনার তল্লাশিতে একটি বড় তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, টাইটানকে খুঁজে বের করতে আরও ২ টি রোবোট কাজে লাগানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় সময় বিকেল ৫.৩০ মিনিট থেকে নিখোঁজ ওই ডুবোজাহাজ। এরপর সোমবার ১২.৩০ নাগাদ অ্যালার্ম শোনা যায়। যা বলে দিয়েছিল যে ডুবোজাহাজ আর ফিরে আসেনি। রিপোর্ট বলছে, ডুবোজাহাজ টাইটান, টাইটানিকের ১৩ হাজার ১২৩ ফুট পর্যন্ত নিচে যেতে পারে। যতই ওই ডুবো জাহাজে কমে যাচ্ছিল অক্সিজেন কমে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানা যায়, ততই যাত্রীদের পরিস্থিতি ঘিরে আশঙ্কা বাড়ে।

 

 

 

 

 

 

(বিস্তারিত আসছে)