বুলাওয়ে: পরপর দু’ম্যাচে পাঁচ উইকেট করে নিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (Wanindu Hasaranga)। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৯৮ রানে শেষ হয়ে গেল ওমান (Sri Lanka vs Oman)। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। কোনও উইকেট না হারিয়ে সেই রান তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ জিতল ১০ উইকেটে। পরপর দুই ম্যাচ জিতে সুপার সিক্সে কার্যত উঠেই গেল শ্রীলঙ্কা।
জয়ের নায়ক হাসারাঙ্গা। মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিলেন। শ্রীলঙ্কার ওপেনারেরা মাত্র ১৫ ওভারের মধ্যে জয়ের রান তুলে নেয়। ৫১ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত রইলেন দিমুথ করুণারত্নে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাঁর দশম সেঞ্চুরি।
বিরাট এই জয়ের ফলে শ্রীলঙ্কার নেট রান রেটও দুর্দান্ত জায়গায়। সুপার সিক্স পর্বেও যে রান রেট শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হবে। যদি ওমান সুপার সিক্সে ওঠে, তবেই। বিরাট পরাজয়ের পরেও পরের পর্বে যাওয়ার দৌড়ে রয়েছে ওমান। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে তারা।
জিম্বাবোয়ের বুলাওয়েতে মেঘলা আবহাওয়ায় টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্য়াটিং করতে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। লাহিরু কুমারা ঘণ্টায় ধারাবাহিকভাবে ১৩৫-১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন কুমারা। কাশ্যপ প্রজাপতির ক্যাচ একবার পড়লেও তিনি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। মাত্র ১ রান করে ফেরেন।
৮ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কুমারা। ম্যাচের সেরা হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি। তবে ওমান ইনিংসকে ভেঙে তছনছ করে দেন হাসারাঙ্গা। ৭.২ ওভারে ২টি মেডেন সহ মাত্র ১৩ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন তিনি।
ম্যাচের পর করুণারত্নে বলেন, ‘আমরা টস জিতেছিলাম আর পিচে পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল। মেঘলা আবহাওয়া থাকায় সুবিধা হয়েছিল। আমাদের পেসাররা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। আমরা দাপট দেখিয়ে জিতেছি। সেটাই চেয়েছিলাম। গোটা দল দারুণ ছন্দে আছে। তবে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোচ্ছি। সুপার সিক্সেও সেভাবেই খেলতে চাই।’