Blinken on Jhumpa Lahiri: ‘সিঙ্গারা খেতে খেতে ঝুম্পা লাহিড়ীর উপন্যাস উপভোগ করি’, মোদীকে বললেন ব্লিনকেন

নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের শেষ লগ্নে তাঁর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং সেদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। অনুষ্ঠানে কমলা হ্যারিসের মুখে শোনা যায় মোদী বন্দনা। এদিকে অ্যান্টনি ব্লিনকেনও মার্কিন জীবনযাপনে ভারতের প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে পঞ্জাবি গায়ক দিলজিত দোসানজ থেকে লেখক ঝুম্পা লাহিড়ীর উল্লেখ ছিল। যোগ থেকে সমোসারও উল্লেখ করেন তিনি। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদী-বাইডেনের যৌথ বিবৃতি, তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল পাকিস্তান)

মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘আমেরিকায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে ভারত। আমরা সামোসা খেতে খেতে ঝুম্পা লাহিড়ীর উপন্যাস উপভোগ করি।’ উল্লেখ্য, ঝুম্পা লাহিড়ীর লেখা ‘দ্য নেমসেক’ খুবই জনপ্রিয় উপন্যাস। তাছাড়াও তাঁর লেখা ছোট গল্প ‘নোবডিস বিজনেস’, ‘ইন্টারপ্রেটার অব ম্যালডিস’ সেরা মার্কিন ছোট গল্পের পুরস্কার জিতেছিল। তিনি পুলিৎজারও পেয়েছেন নিজের সাহিত্যকর্মের জন্য। বাঙালি এই লেখকের জন্ম হয়েছিল লন্ডনে। তবে বর্তমানে তিনি আমেরিকাতেই থাকেন।

এদিকে ঝুম্পা লাহিড়ীর উল্লেখ করা ছাড়া ব্লিনকেন আরও বলেন, ‘আমরা মিন্ডি কালিং-এর কমেডি দেখে হাসি। আমরা কোচেল্লায় দিলজিতের তালে নাচছি। আমরা যোগব্যায়াম করে নিজেদের কমবেশি ফিট এবং সুস্থ রাখছি। আমরা যখনই মার্কিন স্বপ্ন বা ভারতী স্বপ্নের কথা বলি, মাবুষ সেই সুযোগের ওপর বিশ্বাস রাখেন। তাই মার্কিন ও ভারতের আকাঙ্খা যেন আরও এগিয়ে যায়, এই আশাই করছি আমি।’

এদিকে মোদীর মার্কিন সফরকালেই এইচ১-বি ভিসা নিয়ে নয়া নীতি ঘোষণা করল বাইডেন প্রশাসন। ভিসা নীতি বদলের ফলে দক্ষ ভারতীয়দের আমেরিকায় বসবাস আরও সহজ হয়ে যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মদক্ষ ভিনদেশি নাগরিকরা যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে আমেরিকায় থাকতে পারেন, তার জন্য এইচ-১বি ভিসার নিয়মে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নয়া নীতি অনুযায়ী, আমেরিকায় থাকা অবস্থাতেই এইচ১-বি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন কর্মদক্ষ ভিনদেশি নাগরিকরা। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে মোট ৪ লাখ ৪২ হাজার এই১-বি ভিসা ইস্যু করেছিল আমেরিকা। তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ দেওয়া হয়েছিল ভারতীয়দের। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই নীতি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হবে। অল্প সংখ্যক ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের এই নীতির অধীনে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে। যদি এতে সাড়া মেলে এবং এটি সফল হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদে এই নীতি কার্যকর করা হবে।