Military Coup in Russia: রাশিয়ায় পালাবদলের ছক, পুতিনকে শেষ করতে চাইছে ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ভাড়াটে সৈনিকরাই

সরাসরি ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের। উল্লেখ্য, এই ওয়াগনার গোষ্ঠী রাশিয়ার হয়ে বিভিন্ন দেশে ‘ছায়া যুদ্ধ’ করে থাকে। ইউক্রেন যুদ্ধেও বড় ভূমিকা পালন করছে এই বেসরকারি সামরিক গোষ্ঠী। তারা মূলত ভাড়াটে সৈনিক। সেই গোষ্ঠীরই প্রধান ইয়েভজেনি পুতিনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। একদা পুতিন ঘনিষ্ঠ ইয়েভজেনির বিরুদ্ধে ক্রেমলিন তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইয়েভজেনিকে নিয়ে সতর্ক রুশ সেনার জেনারেলরাও। অভিযোগ করা হয়েছে, ইয়েভজেনি অভ্যাত্থানের মাধ্যমে পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে। এই আবহে মস্কো এবং দক্ষিণ রাশিয়ার রস্টভ-অন-ডন শহরে বিশাল সংখ্যা রুশ সেনা এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।

আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রাশিয়ার হয়ে ছায়া যুদ্ধের জন্য পুতিন বিগত বছরগুলিতে আস্থা রেখে এসেছেন ইয়েভজেনির সামরিক গোষ্ঠীর ওপর। তবে এখন এই ওয়াগনার গোষ্ঠীই সরাসরি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং অন্যান্য সামরিক নেতৃত্বের ‘মাথা’ চাইছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক অডিয়ো বার্তায় ইয়েভজেনিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের যারা আটকাতে আসবে, তাদের আমরা খতম করে দেব।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওয়াগনার গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। এর বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই রুশ সেনার একটি হেলিকপ্টার সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে শুরু করেছিল। আমরা সেই হেলিকপ্টারটিকে ধ্বংস করেছি।’

এদিকে ইয়েভজেনি দাবি করেছেন, তাঁর গোষ্ঠীর মোট ২৫ হাজার সৈনিক রয়েছে। তারা রুশ সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। দক্ষিণ রাশিয়ার রস্টভ-অন-ডনে প্রবেশ করেছে তাঁর বাহিনী। এদিকে রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি ওয়াগনার গোষ্ঠীর সৈনিকদের উদ্দেশে পালটা বার্তা পাঠিয়েছে। ওয়াগনার সৈনিকদের উদ্দেশে এফএসবি বলেছে, ‘ইয়েভজেনিকে আটক করো’। এদিকে এই গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে আপডেট দেওয়া হচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনকে।

উল্লেখ্য, এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে একটি মিসাইল হামলা। ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান অভিযোগ করেন, তাঁর সৈনিকদের ক্যাম্পের ওপর ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালায় রুশ সেনা। এতে তাঁর অনেক সৈনিক মারা যায়। এই আবহে তিনি বলেন, ‘ওয়গনার গোষ্ঠীর কমান্ডারদের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই দেশের শয়তান সামরিক নেতৃত্বকে খতম করা হবে। আমরা প্রায় ২৫ হাজার জন রয়েছি। এই বিশৃঙ্খলায় ইতি টানতে হবে আমাদের। এটা কোনও সামরিক অভ্যুত্থান নয়। এটা ন্যায়ের মিছিল।’ যদিও মিসাইল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এদিকে ইয়েভজেনির এই ঘোষণার পর এফএসবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইয়েভজেনি সরাসরি সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা করেছেন। তিনি রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। ইক্রেনের ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা আমাদের সৈনিকদের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছেন ইয়েভজেনি।’