‘আমি গুন্ডা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুন্ডার পিসি’, পালটা আক্রমণ নিশীথের

কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারির নির্বাচনী সভা থেকে গতকাল নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাম না করে নিশীথ প্রামাণিককে ‘গুন্ডা’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। এ নিয়ে মমতাকে পালটা আক্রমণ করলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গুন্ডার পিসি’ বলে নিশানা করলেন।

আরও পড়ুন:নিশীথের কনভয়ে পড়ল তির, ফের দিনহাটার ‘আক্রান্ত’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভা করে কোচবিহার থেকে বের হয়ে যাবার পর রাতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘আমি যদি গুন্ডা হই তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন গুন্ডার পিসি । একেবারে স্পষ্ট ভাষাতেই বলছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় কথা বলেন আমি সেই ভাষাতেই বোঝাতে চাইছি।’ এদিন চান্দামারির জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘একটা গুন্ডা কখনও হোম মিনিস্টার হয়! এখানে যখন বিএসএফ লোককে গুলি করে মেরে দিচ্ছে, তখন উনি আফ্রিকায় ঘুরছেন। তারপর ১০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ঢুকে পড়বেন ভোটে।’ পালটা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষের জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। তাই তিনি ওসব বাজে কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় পুরুষদের দেখা যায়নি। মহিলাদের জোর করে প্রলোভন দেখিয়ে জনসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষাতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। তাতে মনে হচ্ছে উনি সংবিধান ভুলে গিয়েছেন।

একই সঙ্গে বিএসএফের প্রসঙ্গ নিয়েও নিশীথ প্রামাণিক মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘পাচারকারী মারা গেলে কেন তৃণমূলের এত দরদ? তৃণমূল নেতাদের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে তা আমি জানতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘রাত জেগে সব সময় সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে দেশকে সুরক্ষিত রাখেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাদেরকে নিয়ে কোনও কটুক্তি করা মানেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে কটুক্তি করা। দেশের সংবিধানকে অসম্মান করা।’ এছাড়াও নানা বিষয় নিয়ে এদিন শাসক দলকে আক্রমণ করেন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘আজ জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই আক্রমণ গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ, এই আক্রমণ বাংলার সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ।’ তাঁর দাবি, ১১ বছরে বাংলায় যত রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে এর আগে তা কোথাও কোনদিন হয়নি।