‘সমুদ্রতলের দিকে তাকিয়ে বসেছিলাম’, সাবমেরিন দুর্ঘটনায় স্বামী, পুত্রহারা শাহজাদা-পত্নী জানালেন রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতা

আটলান্টিকের তলদেশে সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হতেই উঠে আসে পাকিস্তানি কোটিপতি শাহজাদা দাউদের মৃত্যুর খবর। শুধু শাহজাদাই নন, সাবমেরিনে থাকা শাহজাদা পুত্র সুলেমানেরও মৃত্যু হয়েছে ওই ঘটনায়। প্রসঙ্গত, পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের সমুত্রতল থেকে ১৩ হাজার ফুট নিচে ১১১ বছর পুরনো টাইটানিক দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষ দেখতে রওনা হয়েছিল টাইটান সাবমেরিন। সেই সাবমেরিনের ৫ অভিযাত্রীর অন্যতম ছিলেন শাহজাদা ও সুলেমান। এদিকে, সাপোর্ট ভেসেলে থাকা অবস্থাতে শাহজাদার স্ত্রী ক্রিস্টাইন জানতে পারেন টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। কেমন ছিল সেই পরিস্থিতি? মুখ খুললেন ক্রিস্টাইন।

রবিবার ১৮ জুন শুরু হয়েছিল সেই অভিশপ্ত যাত্রা। ‘ওশেনগেট’ এর আওতায় থাকা, টাইটান সাবমেরিন ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সংযোগ হারায় নিজের সাপোর্ট ভেসেল-এর সঙ্গে। ক্রিস্টাইন বলছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ওঁরা ফিরে আসবেন।’ কিন্তু তারপর দোলাচল থকে থাকে দুর্ভাবনা ঘিরে, শাহজাদা পত্নী বলছেন, ‘ঘটনার ধাক্কা ১০ ঘণ্টা বা  তার বেশি সময় পর লেগেছিল। একটা সময় ঠিল, যখন মনে করা হচ্ছিল যে সমুদ্রতলে উঠবে সাবমেরিন। যখন সেই সময় পার হয়ে যায়, তখন ভালো চিন্তা আর আসছিল না, শুরু হল উদ্বেগ।’ ক্রিস্টাইন বলছেন, একটাই জিনিস তখন কাজে লেগেছিল, তা হল ‘আশা’। ক্রিস্টাইন বলছেন, ‘এটা যেন ছিল রোলার কোস্টার রাইড। একটি স্রোতের মতো, আমরা সমুদ্রতলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।’ যখব ৯৬ ঘণ্টা পার হয়ে যায়, তখন ‘আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম’, বলছেন শোকে কাতর ক্রিস্টাইন। মার্কিন মুলুকের তাবড় কোটিপতি তাঁর স্বামী শাহজাদা। এহেত বিজনেস টাইকুনের স্ত্রী ক্রিস্টিয়ান বর্তমানে স্বামী, পুত্র হারা। টাইটান সাবমেরিন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন শাহজাদা ও তাঁর ছেলে সুলেমান।

চিরকালই শাহজাদা ও সুলেমান অভিযাত্রা পছন্দ করতেন। আর সেই কথা মনে করেন আবেগে ভাসছেন ক্রিস্টাইন। তিনি বলছেন, রওনা হওয়ার আগে পর্যন্তও সুলেমান ও তাঁর বাবা শাহজাদা ছিলেন খুশি, ছিলেন উৎসাহী। এদিকে, দুর্ঘটনায় মারা যান ওশেন গেটের কর্ণধার স্টকটন রাশ। তারপর মার্কিন মুলুকে এভারেটে, এই সংস্থার হেডকোয়ার্টার বন্ধ করা হয়েছে। এতবড় দুর্ঘটনার পর ইউকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের একাধিক সংস্থা একযোগে তদন্তে নেমেছে।