ঠিক যেন সিনেমা। বা হয়তো তার থেকেও বেশি কিছু। আইপিএস অনুকৃতি শর্মা টুইট করে লিখেছেন স্বদেশ মুমেন্ট অফ মাই লাইফ। কী সেই স্বদেশ মুহূর্ত? এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে এটি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর এলাকার ঘটনা। আসলে ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার ঘরে যাতে বিদ্যুতের কানেকশন আসে তার জন্য চেষ্টা করেছিলেন ওই আইপিএস। সেই মতো সফল হন তিনি। এরপর বৃদ্ধার বাড়িতে যান তিনি। সেই বিদ্যুতের আলো যেন তাঁর জীবনেও আলো এনে দিয়েছে। তাঁর মুখেই হাজার ওয়াটের আলো। সেকথাই তিনি তুলে ধরেছেন সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে।
২০২০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। তিনি বর্তমানে বুলন্দশহরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত। তিনি লিখেছেন, আমার জীবনের স্বদেশ মুহূর্ত। নুরজাহান কাকিমার বাড়িতে কারেন্ট এল। মনে হচ্ছে তার জীবনেও যেন আলো এল। তাঁর মুখের যে হাসি তা সত্যিই খুবই তৃপ্তিদায়ক।
সেই সঙ্গে একটি ভিডিয়ো তিনি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে আইপিএস অনুকৃতি শর্মা সেই বৃদ্ধার ঘরে গিয়েছেন। গোটা ঘর জুড়ে অন্ধকার। রঙ চটা, ভাঙাচোরা দেওয়াল। তার মাঝেই বসে রয়েছেন বৃদ্ধা। প্রচন্ড গরমেও পাখার হাওয়া নেই। এরপরই বিদ্যুতের কানেকশন দেওয়া হয়। জ্বলে ওঠে আলো। আরও ওই বৃদ্ধার মুখেও হাজার ওয়াটের ঝলকানি। ঝলমল করছে তাঁর মুখ। এরপর একটি স্ট্যান্ড ফ্যান নিয়ে আসা হয়। সেটা দেখে তো অবাক বৃদ্ধা।
অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা মিষ্টি নিয়ে আসেন। এরপর বৃদ্ধাকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। চারদিকে যেন উৎসবের আলো ছড়িয়ে পড়ে। এতদিন ধরে ওই বাড়িগুলিতে বিদ্যুৎ ছিল না। অবশেষে কারেন্ট এসেছে বাড়িতে। বৃদ্ধা এগিয়ে এসে আইপিএস আধিকারিককে মিষ্টিমুখ করান। খুশি ছড়িয়ে পড়ে গোটা মহল্লায়। সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একলাই থাকেন। অত্যন্ত সহায় সম্বলহীন অবস্থা। দেখার কেউ নেই। প্রচন্ড গরমে কষ্ট পেতেন তিনি। তিনি স্থানীয় পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন আমাকে বিদ্যুতের সংযোগ দিলে খুব উপকার হয়। এরপরই পুলিশ ফান্ড থেকে তাঁকে বিদ্যুতের কানেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অ্য়াডিশনাল এসপি নিজে গিয়ে সেই ব্যবস্থা করেন। আর সেখানে গিয়ে যে খুশির আলো দেখলেন তিনি তা নিঃসন্দেহে মনে রাখার মতো। এর থেকে বড় খুশি আর কী হতে পারে। সেই খুশিই ছড়িয়ে পড়ল সোশ্য়াল মিডিয়াতেও।