Egg freezing: ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেও সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্ম সম্ভব, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

যৌনজীবনের নানাবিধ সমস্যার মধ্যে অন্যতম বড় সমস্যা হল বন্ধ্যাত্ব। অনিয়মিত জীবনযাপন ও আরও বেশ কয়েকটি কারণে বেড়ে চলেছে বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা‌। কলকাতা শহরেই এক বড় সংখ্যক দম্পতি ভুগছেন বন্ধ্যাত্বের সমস্যায়। সন্তান ধারণের পথে নানারকম জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় আইভিএফ পদ্ধতির ব্যবহার অনেকটাই সুরাহা করেছে।‌ আইভিএফ-এর পাশাপাশি আরেকটি‌ চিকিৎসা ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলকাতার হাসপাতালগুলিতে।  তা হল- এগ ফ্রিজিং বা ডিম্বাণু সংরক্ষণ। আইভিএফ পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটানো হয়। কিন্তু পরের পদ্ধতিতে মহিলাদের ডিম্বাণুকে আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এর ফলে দেরিতেও সন্তান ধারণ করতে পারেন একজন মহিলা। সাধারণত বয়স বাড়লে মহিলাদের ডিম্বাণুর গুণমানও কমতে থাকে। একই ঘটনা ঘটে পুরুষদের শুক্রাণুর ক্ষেত্রে। তাই আগে থেকে ডিম্বাণু সংরক্ষিত থাকলে ভবিষ্যতে সুরক্ষিত ও নিশ্চিত গর্ভধারণ সহজ হয়। 

প্রসঙ্গত বিড়লা ফার্টিলিটি ও আইভিএফ সেন্টারে গত বছর ৫০০০ রোগী বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। ‌সন্তান ধারণের জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন ডিম্বাণু সংরক্ষণের পদ্ধতি। বিড়লা ফার্টিলিটি ও আইভিএফ সেন্টারের কনসালটেন্ট ও সেন্টার হেড ডাঃ সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, আইভিএফ ও সহকারী প্রজনন চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এই ধারণাগুলি দ্রুত কাটিয়ে ওঠা জরুরি। পরিবার পরিকল্পনার জন্য বিশেষভাবে এই ধরনের চিকিৎসার গুরুত্ব মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি। 

অন্যদিকে আরেক কনসালটেন্ট স্বাতী মিশ্র বলেন, এগ ফ্রিজিং পদ্ধতিটি এখন সারাবিশ্বেই বেশ বিখ্যাত। আইভিএফ পদ্ধতিটির পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে  ডিম্বাণু কোষ সংরক্ষণ করা হয়। এর ফলে দেরিতে গর্ভধারণ যেমন সম্ভব, তেমনই শিশুর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কিছুটা বেশি। প্রসঙ্গত, বন্ধ্যত্বের সমস্যার দূর করার পাশাপাশি সহকারী প্রজনন চিকিৎসা পরিবার পরিকল্পনায় অনেকটাই উপকারী। তার উপর নয়া পদ্ধতিতে  বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা অনেক দম্পতিকেই ফিরিয়ে দিচ্ছে সুস্থ জীবন।