Sujay Krishna Bhadra: স্ত্রী মৃত্যুর কারণ দেখিয়েও জামিন পেলেন না সুজয়কৃষ্ণ, তবে কোর্ট জানাল অন্য পথ

সোমবার রাতে হৃরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী বাণী ভদ্র। তাঁর প্রয়াণের পরই জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁরে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জেল কোড অনুযায়ী তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যায়। কতদিন মুক্তি দেওয়া হবে আগামী শুক্রবার তা বিবেচনা করবে আদালত।

(পড়তে পারেন। Sujay Krishna Bhadra: প্রয়াত জেলবন্দি ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী) 

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর সোমবার রাত একটা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এর পরই তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আদালতে তাঁর আইনজীবী বলেন,’ওঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। আমরা অন্তত ১৫ দিনের জন্য ওঁর জামিন চাইছি।’ এই আবেদন শুনে বিচারপতি বলেন,’জামিনের বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে। জেল যদি প্যারোল দেয় তবে আমার কোনও আপত্তি নেই।’

ইডি-র আইনজীবী জানান, এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দিতে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আদালত তখন আইনজীবীকে বলেন, কোর্ট প্যারোল দিচ্ছে না। জেল যদি দেয় তখন এসকর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে আদালত। জেল কোড অনুযায়ী শশ্মান যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আজ প্য়ারোলে সুজয়কৃষ্ণ ছাড়ে আদালত।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ১২ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ৩০ মে ‘কালীঘাটের কাকুকে’ গ্রেফতার করে ইডি। তার পর থেকে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুন্তল ঘোষের সংযোগ সাধনের কাজ করেছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্য এক অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল। 

এর আগেও একাধিকবার জামিনের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই আদালত সেই জামিন খারিজ করে দেয়। স্ত্রী মৃত্যুর খবর পেয়ে ফের জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এবার জামিন দিল না আদালত।