Cancer Research: আর্টিফিশিয়াল সুইটনার অ্যাসপার্টামে কি রয়েছে সম্ভাব্য ক্যানসারের ঝুঁকি! থাকে বহু ড্রিঙ্কে, কোন পথে হু

ভ্যাপসা গরম হোক বা রোদের তেজের গরম, গরম লাগলেই কোল্ডড্রিঙ্ক পান করে স্বস্তি পেতে মন্দ লাগে না! তবে এবার ডায়েট কোকে থাকা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার অ্যাসপার্টাম নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুএর ক্যানসার গবেষণা ধর্মী এজেন্সি, দাবি সূত্রের। সতর্কতার কেন্দ্রে রয়েছে কার্সিনোজেন। আর হু এর ওই সংস্থার দাবি, অ্যাসপার্টাম আসলে সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক পদার্থ।

কোকাকোলা ডায়েট সোডা বা ডায়েট কোকে থাকে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার অ্যাসপার্টাম। এছাড়াও মার্স-এর ‘এক্সট্রা চিউইংগাম’, এছাড়াও বেশ কিছু ড্রিঙ্কে এই অ্যাসপার্টাম থাকে। হু বলছে, জুলাইতে এই অ্যাসপার্টামকে কার্সিনোজেন-এর তালিকায় রাখা হবে। এণনই সম্ভাবনা উঠে আসছে। অ্যাসপার্টামকে ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেন’ বলে এই প্রথম দাবি করল, হু এর ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার। উল্লেখ্য, কার্সিনোজেন থেকে আসে ক্যানসারের ঝুঁকি। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার বা আইএআর সি এই মাসের প্রথমের দিকে এক বৈঠকে বসে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে খতিয়ে দেখা হয় সমস্ত প্রমাণকে। তদন্ত করা হয় অ্যাসপার্টাম আসলে ভয়ঙ্কর কি না। 

এখনও পর্যন্ত এটা জানা যাচ্ছে না, একজন মানুষ কতটা অ্যাসপার্টাম নিরাপদে গ্রহণ করতে সমর্থ, তার তথ্য। খাদ্য নিয়ে হু এর বিশেষজ্ঞ কমিটি, ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে, আইএআরসির একাধিক খাদ্য বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই খাদ্যের ব্যবহার তার রেসিপি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বহু প্রতিষ্ঠানকে খাবারের রেসিপিতে বদল আনতে বাধ্য করে। মূলত, কার্সিনোজেন এমন একটি পদার্থ যার সংস্পর্শে আসলে ক্যানসার ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তবে তা থেকে ক্যানসার ছড়ানোর সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতি, তার সংস্পর্শে কতটা আসা হচ্ছে তা থেকে। বহু রেডিওঅ্যাকটিভ পদার্থকে কার্সিনোজেন বলে মনে করা হয়।