France Violence: নাদেলের মৃত্যুতে জ্বলছে ফ্রান্স, ভয়াবহ হিংসায় পুড়ল বাড়ি-গাড়ি, এক রাতে ধৃত ৮৭৫

রক্তক্ষয়ী হিংসা রুখতে যাবতীয় দিক পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। এমনই জানাল ফ্রান্স সরকার। তবে ঠিক কী কী বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত জরুরি অবস্থা জারি করা হচ্ছে না। যদিও পুলিশের গুলিতে আলজারিয়া এবং মরক্কোর বংশোদ্ভূত এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে ফ্রান্সে যে হিংসা ছড়িয়েছে, তা কার্যত ফ্রান্স সরকারের হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ি, বাস, গাড়ি। নির্বিচারে অসংখ্য দোকানে লুটপাঠ চলেছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০-র বেশি পুলিশ আধিকারিক।

আরও পড়ুন: Modi and Putin Talk: আমেরিকা থেকে ফেরার পর পুতিনকে ফোন মোদীর, আলোচনায় ইউক্রেন, ওয়াগনার বিদ্রোহ

যে হিংসাত্মক ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার সকালের একটি ঘটনায়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্যারিসের শহরতলিতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের নাহেল এমের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গাড়ির চালকের আসনের দিকে দাঁড়িয়ে আছেন দুই পুলিশ অফিসার। প্রাথমিকভাবে কোনও বিপদের কিছু না থাকলেও চালককে লক্ষ্য করে এক অফিসার চালিয়ে দেন। 

আরও পড়ুন: US College Admission: বর্ণের নিরিখে কলেজে ভরতির নিয়ম খারিজ, সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতায় বাইডেন, হতাশ ওবামা

সেই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। লাগাতার বৈষম্যের কারণে গরিব, ভিন্ন বর্ণের মানুষের মধ্যে ক্রমশ যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল, তা মঙ্গলবারের ঘটনার পর আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত লাভার মতো বেরিয়ে আসতে থাকে। ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর এবং শহরতলি এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। প্যারিসের তুলনামূলক নিম্নবিত্ত এলাকা, মার্সেই, লিয়ঁ, তুলুস, লিলির মতো জায়গায় লাগামছাড়া হিংসা ছড়িয়েছে। পোড়ানো হয়েছে অসংখ্য গাড়ি। লিয়ঁ ট্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তর প্যারিসে একটি ডিপোয় ১২টি বাস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

এখন পরিস্থিতি এমনই হয়েছে যে ফ্রান্সের একাধিক বড় শহরে গণপরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্র উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে প্যারিসে প্রতিদিন রাত ন’টার পর থেকে বাস এবং ট্রাম পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। আবার ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মার্সেইতে সন্ধ্যা সাতটার পর গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশানের তরফে জানানো হয়েছে, রাতভর ৮৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০০-র বেশি পুলিশ আহত হয়েছেন। ৪০,০০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।