এবার বিশ্বব্যাঙ্ক বাংলাকে দিচ্ছে বিপুল আর্থিক ঋণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই চুক্তি

বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক ইতিমধ্যেই বাংলার কৃষক ও কৃষিকে বাঁচাতে প্রকল্প নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার চাষীরা। ইতিমধ্যেই জুন মাসে যে বৃষ্টি হয়েছে সেটা চাষের জন্য ঘাটতি। এই আবহে অনাবৃষ্টির হাত থেকে বাংলার চাষকে বাঁচাতে বিশ্বব্যাঙ্ক ক্ষুদ্র সেচের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এই টাকা দিয়ে পাহাড় থেকে সুন্দরবন–সহ নানা এলাকার বৃষ্টি ও ভূগর্ভের জল সংরক্ষণ করা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই এই ঋণ নিয়ে রাজ্য–বিশ্বব্যাঙ্ক চুক্তি হবে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে বাংলার কৃষিকে এক নম্বর স্থানে নিয়ে যাবেন বলে আগেই অঙ্গীকার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া কৃষি এবং পঞ্চায়েতের কাজে বাংলাকে সেরার শংসাপত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে এবার স্যাটেলাইট চিত্র দেখেই এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানের ছ’টি জেলা পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম হচ্ছে খরা প্রবন। আবার সেচের সঠিক পরিকাঠামোও নেই। তাই জলের অভাবে এখানে চাষবাস বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অন্যদিকে বাংলার গ্রামে চাষের সুযোগ বাড়াতেই বিশ্বব্যাঙ্ক আগ্রহী হয়েছে ঋণ দেওয়ার জন্য। তাতে বেশ গর্বিত নবান্ন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার বহু টাকা আটকে রেখেছে। তার জেরে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এটা আটকাতেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বাংলার কৃষক পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুন্দরবন এবং পূর্ব মেদিনীপুরে চাষের বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে লবনাক্ত জল হওয়ায় চাষের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া দার্জিলিং–কালিম্পংয়েও জল ধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই চাষের ক্ষতি হচ্ছে। আগামী দিন জলই একটা বড় সংকট হয়ে দেখা দিতে পারে চাষে। তাই এমন উদ্যোগ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুনের রাজনীতি করেন’‌, হালিশহর থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে। আবার যেখানে ভূগর্ভে জল মিলবে সেখানে টিউবওয়েল বসিয়ে সেচের জলের ব্যবস্থা করা হবে। খাল কেটে মিষ্টি জলের ব্যবস্থাও করা হবে। সেচের জন্য পাহাড়ে ঝোরাগুলি সংস্কার করে জলধারন ক্ষমতা বাড়ানো হবে। আগামী ৬ বছরে ধরে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রকল্প চলবে। কম জলে কেমন করে চাষ সম্ভব সেটাই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কৃষকদের। সঙ্গে রয়েছে আরও পরিকল্পনা।