Extraterrestrial Technology: হাতে এসেছে অ্যালিয়েনদের ‘ বহির্বিশ্বের প্রযুক্তির’ ভগ্নাবশেষ! বিজ্ঞানীর বড় দাবি

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অভি লোয়েবের সাম্প্রতিক দাবিতে বিজ্ঞান বিশ্বে দোলাচল পড়ে গিয়েছে। জ্যোর্তিপর্দার্থবিদ এই বিজ্ঞানী দাবি করছেন, তাঁর কাছে রয়েছে অ্যালিয়েনদের বা বহির্বিশ্বের এক পড়ে থাকা প্রযুক্তির ভগ্নাবশেষ। আর তা তিনি পেয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে গবেষণাধর্মী সফরে ছিলেন এই মার্কিন পদার্থবিদ। তাঁকে এই প্রজেক্টের জেরে প্রশান্ত মহসাগরের গভীরে তার তলদেশ পর্যন্ত যেতে হয়েছে। আর সেখানেই তিনি অবাক করা ওই প্রযুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বলা হচ্ছে, আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু পৃথিবীতে যে রয়েছে, তার প্রমাণ আপাতত অভি লোয়েবের হাতে। পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুর অগ্নাবশেষ তিনি খুঁজে ফেলেন বলে জানিয়েছেন। 

এদিকে, ২০১৪ সালে একটি ঘটনা ঘটে। আকাশ থেকে এক রহস্যজনক বস্তু সেই বছর পাপুয়া নিউগিনির উপকূলে পড়ে। সেই বস্তু ছিল রহস্যময় উল্কা ডাব আইএম ১। মনে করা হচ্ছে সেই বস্তুটি অন্য কোনও নক্ষত্রমণ্ডলীর জগত থেকে এসে পড়েছে পৃথিবীতে। লোয়েবের ধারণা, তিনি যে জিনিসটি পেয়েছেন তা কোনও বহির্জাগতিক প্রযুক্তির ভগ্নাবশেষ। যা প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে পড়েছিল। উল্লেখ্য, এই বক্তব্য পর্যন্ত ৬১ বছরের লোয়েবের দাবি ঘিরে তেমন সাড়া পড়েনি। তবে সেই সাড়া পড়ে ‘Oumuamua’ বিষয়টির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, এই দাবির পর। যা, তিনি মনে করছেন, এমন এক রহস্যময় বস্তু যা পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে গিয়েছে। সমুদ্রের অতলে যখন লোয়েব তাঁর খোঁজের শেষ পর্যায়ে গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেথেন, কয়েকজন গভীর সমুদ্রের অভিযাত্রিক ৫০ টি গোলক পেয়েছেন। সেগুলি যেন ছিল বিন্দুর মতো। যার ব্যাস আধা মিলিমিটার। এরপর লোয়েবের টিম ৩৫ মিলিগ্রাম ধাতব বস্তু সমুদ্রের পৃষ্ঠ জুড়ে একটি বড় চৌম্বকীয় স্লেজ টেনে বের করেছেন। আর তা সমুদ্রের অতল জুড়ে ছিল। জ্যোতির্পদার্থবিদ বিশ্বাস করেন যে গোলকগুলি সম্ভবত একটি ইস্পাত-টাইটানিয়াম খাদ থেকে তৈরি।

এই গোটা পর্বের খোঁজ ‘এলিয়ান হান্টার অফ হার্ভার্ড’ শীর্ষক ব্লগে তুলে ধরেন লোয়েব। তিনি সেখানে এই যাবতীয় তথ্য পেশ করেন। তাঁর মতে, তিনি যা উদ্ধার করেছেন, তা একটি উপাদান যা সাধারণ উল্কাগুলিতে পাওয়া সাধারণ লোহার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি বলছেন, সম্ভবত একটি উন্নত বহির্জাগতিক সভ্যতার পণ্য হতে পারে। তবে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।