সবজির দামে মধ্যবিত্তের হাতে ছ্যাঁকা, নিয়ন্ত্রণে রবিবার থেকে মাঠে নামছে নবান্ন

আকাশছোঁয়া সবজির দাম। বাজারের দরে হাত পুড়ছে রাজ্যবাসীর। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন রবিবার থেকে বাজারে বাজারে ঘুরবে টাস্ক ফোর্স।

(আরও পড়ুন। ফাঁকিতে ফাঁসিও না! বিশেষ আই কার্ডে পুলিশ কর্মীদের গতিবিধিতে নজর লালবাজারের)

টম্যাটো একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে, বেগুনের দামও আকাশছোয়া। অন্যান্য সবজির দামে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীও। তারই নির্দেশে শনিবার সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন রবিবার থেকে বাজারগুলি পরিদর্শন করবে টাস্ক ফোর্স। আগামী দশ দিনের মধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে নবান্ন।

সুফল বাংলার মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্য সবজি পাওয়া যাচ্ছে। সেই সুফল বাংলার স্টল যাতে গুরুত্বপূর্ণ বাজারে রাখা যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। নবান্ন মনে করছে বাজারগুলিতে টাস্ক ফোর্স গেলে সবজির দাম কিছুটা হলেও কমবে।

বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে দাম বেড়েছে লঙ্কার। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বাজারগুলিতে লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বেগুন, করোলা, উচ্ছে সব ১০০টাকা পার করেছে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে দাম বেড়েছে জিরের। বাজারে সাধারণ জিরের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন মাস খানেকের মধ্যে জিরের দাম হাজার টাকার গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবে।

কেন বেড়েছে সবজির দাম, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর নেই ব্যবসায়ীদের কাছে। কেউ কেউ আবার দাম বাড়ার জন্য গ্রাম বাংলার ভোটের দিকেই আঙুল তুলছেন। তবে এই দাম বাড়ার পিছনে কালোবাজার চক্র কতটা সক্রিয় তা বুঝতেই বাজারগুলিতে যাবে টাস্ক ফোর্স। 

জিরের দাম বাড়ার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, গতবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৃষ্টির কারণে জিরের ফলন কম হয়। এবার দেশে ফলন ভালো হলেও অনাবৃষ্টির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ফলন একেবারেই হয়নি বলে বলা চলে। যার ফলে ওই দেশগুলিতে জির রফতানি বেড়েছে। সে কারণে দেশে দাম বাড়ছে জিরের।