PPF Investment Tips: বছরে PPF অ্যাকাউন্টে এই পরিমাণ টাকা দিন, তাহলেই ১৭ বছর পর ১ কোটি পাবেন দম্পতিরা!

সদ্য বিয়ে করেছেন? ফিউচার প্ল্যানিং নিয়ে ভাবছেন? কীভাবে এখন থেকেই জমালে ১৫-২০ বছর পর বড় অঙ্কের টাকা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবনাচিন্তা করছেন। তাহলে আপনার কাজটা সহজ করতে পারে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)। কারণ আপাতত যে হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে, তাতে কোনও দম্পতি যদি প্রতি বছর মাথাপিছু ১.৫ লাখ টাকা পিপিএফে জমা দেন, তাহলে ১৭ বছর শেষে এক কোটি টাকা পাবেন (দুটি পৃথক অ্যাকাউন্ট)। মুদ্রাস্ফীতির কারণে ১৭ বছর পরে এক কোটি টাকার দাম কিছুটা কমে গেলেও অঙ্কটা যে নেহাত কম নয়, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে টাকা দিয়ে নিজের পছন্দের কোনও কাজ করতে পারবেন বা সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় খরচ করতে পারবেন বা অবসরের আগে হাতে একলপ্তে বড় অঙ্কের টাকা পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: PPF trick for maximum return: সুদ না বাড়লেও এক চালেই সর্বাধিক রিটার্ন মিলবে PPF-এ! করতে হবে যে কোনও একটি কাজ

কীভাবে সেটা সম্ভব হবে, তা দেখিয়েছেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি) অনুমোদিত সংস্থা স্টেবল ইনভেস্টরের প্রতিষ্ঠাতা দেব আশিস। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে কোনও দম্পতি যদি বছরে ১.৫ লাখ টাকা করে পিপিএফে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন, তাহলে ধাপে-ধাপে তাঁদের সঞ্চয়ের পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। ১৫ বছর শেষে তাঁদের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে থাকবে ৮১,৩৬,৪১৮ টাকা। আর ১৭ বছর পর হাতে এক কোটি টাকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্টেবল ইনভেস্টরের প্রতিষ্ঠাতা।

পিপিএফের হিসাব

১) প্রথম বছর: তিন লাখ টাকা জমা পড়লে প্রথম বছরের শেষে পিপিএফে মোট অঙ্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩,২১,৩০০ টাকা। 

২) দ্বিতীয় বছর: সুদ ধরে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স হবে ৬,৬৫,৪১২ টাকা। 

৩) তৃতীয় বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে মোট অঙ্কের পরিমাণ ঠেকবে ১০,৩৩,৯৫৭ টাকা। 

৪) চতুর্থ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স দাঁড়াবে ১৪,২৮,৬৬৭ টাকা। 

৫) পঞ্চম বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে মোট অঙ্কের পরিমাণ ১৮,৫১,৪০৩ টাকায় ঠেকবে। 

৬) ষষ্ঠ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ২৩,০৪,১৫২ টাকা থাকবে। 

৭) সপ্তম বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স দাঁড়াবে ২৭,৮৯,০৪৭ টাকা। 

৮) অষ্টম বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স দাঁড়াবে ৩৩,০৮,৩৭০ টাকা। 

৯) নবম বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৩৮,৬৪,৫৬৪ থাকবে। 

১০) দশম বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স থাকবে ৪৪,৬০,২৪৮ টাকা। 

১১) একাদশ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ৫০,৯৮,২২৬ টাকা থাকবে। 

১২) দ্বাদশ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স থাকবে ৫৭,৮১,৫০০ টাকা। 

১৩) ত্রয়োদশ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ৬৫,১৩,২৮৬ টাকা থাকবে। 

১৪) চতুর্দশ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স থাকবে ৭২,৯৭,০২৯ টাকা।

১৫) পঞ্চদশ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ৮১,৩৬,৪১৮ টাকা থাকবে।

১৬) ষোড়শ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টে থাকবে ৯০,৩৫,৪০৪ টাকা।

১৭) সপ্তদশ বছর: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স থাকবে ১ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ হয় ১৫ বছর। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট খোলার ১৫ বছর পরে ম্যাচিওর হয়। যা অবশ্য পরবর্তীতে বাড়ানো যায়। ১৫ বছরের পর আরও পাঁচ বছর পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। ফর্ম-৪ জমা দিয়ে প্রতি বছর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম আছে। আবার কোনও টাকা না দিয়েও পিপিএফ অ্যাকাউন্টধারীরা ম্যাচিওরিটির পরও টাকা জমা রাখতে পারবেন।