বর্ষার মরসুম দেখতে দেখতে চলেই এল। আর এই মরসুমেই নানারকম সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সংক্রমণের মধ্যে রয়েছে ত্বকের একাধিক সংক্রমণ। দেখা গিয়েছে, বর্ষার ত্বকের নানারকম রোগ হওয়ার প্রবণতাও অনেক বেশি। তাই ত্বকের যত্ন নিতে কিছু ছোট ছোট অভ্যাস না মেনে চললেই নয়।
কেন সমস্যা হয় ত্বকের?
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন রোগজীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়। তা থেকেই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
ত্বক ভালো রাখতে কী কী করতে হবে?
বর্ষায় ত্বককে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখা বিশেষভাবে জরুরি। এর পাশপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও কিছু কাজ না করলেই নয়। ক্যারিশমা এস্থেটিকসের চিকিৎসক ক্যারিশমা ক্যাগোডু জানাচ্ছেন এমনই কয়েকটি উপায়।
আরও পড়ুন: তুমুল যুদ্ধেও চালু ছিল বিধান রায়ের ক্লাস! কীভাবে মিলিত হতেন শিক্ষক-পড়ুয়ারা
আরও পড়ুন: কোন ভাবনা নিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় চিকিৎসক দিবস?
- ত্বকের সুরক্ষা: আর্দ্রতার ফলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। এই ছত্রাক সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ত্বক শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখা জরুরি। নিয়মিত ত্বক শুষ্ক ও পরিষ্কার থাকলে অ্যাথলেটস ফুটের মতো বড়সড় রোগও এড়ানো যায়। এছাড়াও রিংওয়ার্মের থেকে মুক্তি মেলে। বিশেষ করে বগল, কুঁচকি যেখানে বেশি ঘাম জমে, সেখানেই সংক্রমণের হার বেশি।
- ক্লিনজিং ও টোনিং: ক্লিনজিং ও টোনিং ত্বকের জন্য ভীষণ জরুরি। পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে এমন একটি ক্লিনজার বেছে নিন ত্বকের জন্য। এছাড়াও নিয়মিত একটি টোনার ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূরে থাকে।
- হাইড্রেশন: ত্বক হাইড্রেটেড রাখা এই মরসুমে খুবই জরুরি। এই সময় ত্বকের ভিতর থেকে আর্দ্রতা বেশি জরুরি। ত্বককে পুষ্ট করতে তাই নিয়মিত জল খান। এতে হাইঅ্যালুরনিক অ্যাসিডের পরিমাণ ঠিক থাকে।
- সূর্যের থেকে রক্ষা: ত্বকের সুরক্ষার জন্য সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা জরুরি। বর্ষার দিনেও সূর্যের ইউভি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এতে ত্বক রক্ষাকারী স্তরটিই যায় নষ্ট হয়ে। তাই নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন মাখা জরুরি।
- এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মৃত কোশ জমা হয়। এই কোশগুলি বার করতেই নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করা জরুরি। এক্সফোলিয়েশন মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে করুন। তাহলে আর সমস্যা হবে না ত্বকের।