Saayoni Ghosh: ফোনে নয়, মনে থাকে দিদির ছবি, প্রতিবেশীর ছবি ফেলে দেওয়ার দাবি শুনে বললেন সায়নী

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে সায়নী ঘোষ। এর মধ্যে আবার তাঁর এক প্রতিবেশীর দাবি নতুন করে অস্বস্তি তৈরি করল। ওই প্রতিবেশী দাবি করেন, জুন মাসের শুরুর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ফেলে দিচ্ছিলেন তৃণমূল যুব নেত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকার। ওই প্রতিবেশী তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, ‘দিদিমণি’ অর্থাৎ সায়নী ঘোষের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছিলেন। প্রতিবেশীর এই দাবি নতুন করে চর্চার ইন্ধন দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, ইডি ডাকতে পারে জেনে দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরির করার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তিনি। এই প্রশ্নের উত্তরে সায়নী জানিয়েছেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। দিদি রয়েছেন তাঁর মনে।

(পড়তে পারেন। গলফ গ্রিনে ২টো ফ্ল্যাট, EMI দেয় কে? সায়নীর জবাবে সন্তুষ্ট নয় ED)

এ বিষয়ে টিভি নাইন বাংলা তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুটা মেজাজ হারান। তিনি বলেন,’যদি বলে থাকে তবে তাঁকে দিয়ে আগে লিখিয়ে আনো। আরও একশ জন আছে যাঁরা বলবেন সায়নী ঘোষ এটা করেনি। আর মমতা দিদির ছবি সেটা ফোনের ওয়ালপেপার নয় মনের ওয়ালপেপার।’

ওই প্রতিবেশীর দাবি,’জুনের গোড়া দিকে সায়নীর কেয়ারটেকাকে ছবিগুলি ফেলে দিতে দেখি। তখন আমি গিয়ে জানতে চাই ছবিগুলি ফেলে দেওয়া হচ্ছে কেন। সে বলে দিদি বলেছেন তাই। আমি তখন ভেবেছিলাম হয়তো দল ছেড়ে দেবে তাই। না হলে যে দলে যুব সংগঠনের নেত্রী সে এই ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ফেলে দেয়।’ তিনি দাবি করেন সেই ফেলে দেওয়া ছবি তিনি মোবাইল বন্দি করে রেখেছেন। 

(পড়তে পারেন। Sayani Ghosh: জিজ্ঞাসাবাদের সময় কি কারও নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছে ED? কী বললেন সায়নী)

শুক্রবার ১১ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে বাড়ি ফেরেন সায়নী। আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। তিনি অবশ্য বারবারই দাবি করেছেন, তদন্তে একশো শতাংশ সহযোগিতা করছেন। যতবার ইডি ডাকবে ততবারই তিনি যাবেন।

সায়নী দাবি করেন দল তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তিনিও দলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘যাঁর চোর, তাঁরা লুকিয়ে আছেন। তাঁরা পালাবেন। আমি কেন পালাব।’ আগামী ৫ জুলাই ফের সায়নীকে তলব করতে পারে ইডি।