France Riot: কেন পুড়ছে ফ্রান্স? দাঙ্গার জন্য টিকটক, টুইটারকে দায়ী করলেন ম্যাক্রোঁ

পুলিশের গুলিতে এক আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফরাসি তরুণের মৃত্যু ঘিরে আগুন জ্বলছে সেদেশে। ইতিমধ্যেই সেদেশে ৯০০ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, দাঙ্গার জেরে জখম হয়েছেন প্রায় ৩০০ পুলিশকর্মী। এই আবহে এই অশান্ত পরিবেশের জন্য টিকটক, স্ন্যাপচ্যাটের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে দায়ী করলেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই হিংসা ছড়িয়েছে দেশের বহু প্রান্তে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক জায়গার হিংসা দেখে তার অনুকরণেই অন্যত্র হিংসা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ম্যাক্রোঁর।

এদিকে ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ‘সংবেদনশীল বিষয়বস্তু’ সরিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হিংসা ছড়াতে উদ্বুদ্ধ করছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন ম্যাক্রোঁ। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুমাত্র হিংসার ভিডিয়ো বা ছবিই ছড়িয়ে পড়ছে না, বহু ফরাসি পুলিশকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্যও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ‘নেহেল’ নামক তরুণকে যে পুলিশকর্মী গুলি করেছিলেন, তাঁর ঠিকানা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এদিকে এক কারারক্ষীর আইডি কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিকে জানা গিয়েছে, স্ন্যাপচ্যাট ও টুইটারের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা শুরু করেছে ফরাসি সরকার। ‘সংবেদনশীল বিষয়বস্তু’ সরানো নিয়ে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তবে ম্যাক্রোঁ ‘সংবেদনশীল বিষয়বস্তু’ বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে হিংসায় ইন্ধন জোগানো ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করে চাইছে ফরাসি সরকার। টুইটার, টিকটকের মতো সংস্থার কর্তাদের ফরাসি সরকার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, দেশে হিংসা ছড়ানোর মাধ্যম হতে পারে না সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্য়াটফর্মগুলি। এদিকে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই সরকারকে সাহায্য করে চলেছে। এই আবহে ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, ‘যেই দোষী হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা আইন মানবে না, তাদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করবে সরকার।’

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে এক ১৭ বছরের তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল প্যারিসে। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সেদেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশের। এখনও পর্যন্ত এই হিংসার জেরে ৪৯২টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ম্যাক্রোঁ প্রশাসন। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ৪৫ হাজার পুলিশ এবং আধাসেনা নামিয়েছে ফরাসি সরকার।