Ukraine War: সাদ্দামকে বাথরুমে থাকাকালীন মারার জন্য তৈরি হয়েছিল, সেই মিসাইল এখন ইউক্রেনের ভরসা

রাশিয়ার সেনাকে ঠেকাতে সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ মিসাইল ব্যবহার করছে ইউক্রেন। এই ব্রিটিশ মিসাইল ব্যবহার করেই প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে রাশিয়ার সামরিক যান, এবং রশদবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে আঘান হানছে ইউক্রেন। তবে এই মিসাইল তৈরি হয়েছিল ইরাকের একনায়ক সাদ্দাম হুসেনকে মারার জন্য। এর নাম – স্টর্ম শ্যাডো। এই মিসাইলটি বেশ নিখুঁত। মার্কিন ও ব্রিটিশ জোটের পরিকল্পনা ছিল, সাদ্দাম হুসেন যখন বাথরুমে বাথটাবে শুয়ে থাকবেন, তখন এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করে তাঁকে খতম করা হবে। এখন সেই মিসাইলই ইউক্রেনের কাজে লাগছে।

একটি স্টর্ম শ্য়াডো এতটাই নিখুঁত যে ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের সময় এই মিসাইল দিয়ে একটি দেওয়ালে ছেদ করা হয়েছিল। এরপর অপর একটি স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল উৎক্ষেপণ করে সেই ছেদ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করা হয়েছিল। এদিকে ব্রিটিশ মিসাইলটি ব্যবহার করে রুশ দখলে থাকা ইউক্রেনের ভূখণ্ডেও আঘাত হেনেছে জেলেনস্কির বাহিনী। জানা গিয়েছে, গত মে মাসেই ‘স্টর্ম শ্যাডো’ হাতে পেয়েছিল ইউক্রেন। এদিকে মার্কিন ‘হাইমার্স’ মিসাইলও সেই একই সময়ে পেয়েছিল ইউক্রেন। ‘হাইমার্স’ মিসাইলটি ট্রাকের ওপর থেকেই উৎক্ষেপণ করা যায়। এই মিসাইলের রেঞ্চ ৫০ মাইল। তবে রুশ রশদ ঠেকাতে সবথেকে বেশি কার্যকর হয়েছে ব্রিটেনের স্টর্শ শ্যাডো। এই মিসাইলের জেরে রাশিয়া নিজেদের সেনার কাছে অস্ত্র, খাবার ও অন্যান্য সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে পারছে না। জুন মাসে এই স্টর্ম শ্যাডো প্রয়োগ করে খেরসন এবং জাপোরঝিয়ায় সেতু ভেঙে দিয়েছিল ইউক্রেন সেনা। এদিকে রিয়োকোভ নামক এক গ্রামের কাছে রুশ অস্ত্রভাণ্ডারে আঘাত হেনে তা ধ্বংস করে দিয়েছিল ইউক্রেন।

এদিকে যুদ্ধের শুরু থেকেই আমেরিকা থেকে অস্ত্র এবং আর্থিক মদত পেয়ে আসছে ইউক্রেন। এবার আমেরিকার এক অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেমও হাতে পেতে পারেন জেলেনস্কি। জানা গিয়েছে, আমেরিকার একটি দূরপাল্লার মিসাইল সিস্টেম ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক চলছে। এই নিয়ে পেন্টাগনের কর্তারা অনুমোদন চেয়েছেন। ‘আর্মি ট্যাক্টিকাল মিসাইল সিস্টেম’ নামক এই অস্ত্রটি ১৯০ মাইল দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। এই মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন অনায়াসে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারবে। এই ভয় থেকেই এতদিন আমেরিকা এই মিসাইল সিস্টেম তুলে দেয়নি ইউক্রেনের হাতে। কারণ ইউক্রেন যদি প্রতিহিংসা থকে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালায়, তাহলে তার পরিণাম হবে আরও ভয়াবহ।