Pakistan clinches IMF bailout: ডুবে যাওয়ার আগে বেঁচে গেল পাকিস্তান! IMF-র টাকা পেয়ে বলল ‘এটাই যেন শেষ ঋণ হয়’

জলে ডুবে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বেঁচে গেল পাকিস্তান। একেবারে শেষমুহূর্তে পাকিস্তানকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে রাজি হল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। বিশ্বের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, নয় মাসের সেই চুক্তিতে এবার আইএমএফের বোর্ডের অনুমোদন লাগবে। যা চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তবে ইতিমধ্যে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ শুরু করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ভয়াবহ আর্থিক সংকটের সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য চিন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁর প্রার্থনা, এটাই যেন পাকিস্তানের শেষ ঋণ হয়।

আরও পড়ুন: Israel’s Spy Agency: ইরানে হত্যালীলা চালানোর ছক, কলকাঠি নাড়ছিল পাকিস্তান, ফাঁস করল ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা

আইএমএফ এবার যে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে, সেটাই শেষ ঋণ হবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে এবার ওই তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার না পেলে পাকিস্তান পুরোপুরি ডুবে যেত বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। ওই মহলের মতে, শেষমুহূর্তে ভেন্টিলেটরের নলটা না খুলে বাঁচিয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানকে। নাহলে এখনই মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য নিয়ে পাকিস্তানে যে হাহাকার চলছে, তাতে শেষ হয়ে যেত ভারতের পড়শি দেশ। 

আরও পড়ুন: আত্মঘাতী পাক ক্রীড়াবিদ! ইদের দিনে কাঠ কাটার যন্ত্রে নিজের প্রাণ দিলেন ২৮ বছরের স্নুকার প্লেয়ার

তবে সেই ভেন্টিলেটরে যে পাকিস্তানকে সারাজীবন রাখা যাবে না, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। বিশ্বের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আমদানি কমিয়ে আনতে এবং বাণিজ্যের ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। ক্রমশ বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার কমেছে। একেবারে নীচের সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। বিদ্যুৎক্ষেত্রের অবস্থাও শোচনীয় বলে জানিয়েছেন তিনি। 

সেই বিষয়টা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফও। আইএমএফের অনুদান পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও শরিফের বক্তব্য, ঋণের ভিত্তিতে কোনও দেশ চলতে পারে না। দেশকে স্বাবলম্বী হতে হবে। তাঁর কথায়, ‘আইএমএফের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে পাকিস্তান কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করবে সেই চুক্তি। কিন্তু (এটাও মনে রাখতে হবে যে) কখনও কোনও দেশ ঋণের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। আমি প্রার্থনা করব যে এটাই যেন শেষ চুক্তি হয়।’

কঠিন মুহূর্তে পাশে থাকার জন্য ‘বন্ধু’ চিন, সৌদিদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কীভাবে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তারও একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তাতে কৃষি, খনিজ, প্রতিরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাকিস্তানের যে সম্ভাবনা আছে, সেটাকে কাজে লাগানো হবে। সেই পরিকল্পনার ফলে কোটি-কোটি ডলার বিনিয়োগ আসবে পাকিস্তানে, ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেইসঙ্গে দার্শনিক ভঙ্গিমায় তিনি বলেন, ‘এই পথটা হয়ত কঠিন। কিন্তু একট কথা আছে, যখন কোনও কিছু করা কঠিন হয়, তখন কঠিন কাজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।’