‘১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও ভরতি নেওয়া হয়নি, সরকারি হাসপাতালের বাইরে প্রসব যুবতীর’

প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন এক প্রসূতি। অথচ হাসপাতালের লেবার রুমে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না ওই মহিলাকে। যারফলে লেবার রুমের বাইরে সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি। অমানবিক এই দৃশ্য ধরা পড়ল একটি সরকারি হাসপাতালে। ঘটনাটি গুরুগ্রামের একটি সরকারি হাসপাতালে ঘটেছে। যদিও সন্তান জন্মানোর পর ওই প্রসূতিকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে সদ্যোজাত এবং প্রসূতি দুজনেই সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ২৫ বছরের ওই যুবতীর নাম শান্তি নরেন্দর। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শুক্রবার রাত ৯ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওই মহিলা গুরুগ্রামের সিভিল হাসপাতালে পৌঁছান। তবে তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই প্রসূতিকে ভরতি নিতে চাইনি বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, লেবার রুমের বাইরেই সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। প্রসূতির স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে দুই নার্স এসে তাঁকে হুইলচেয়ারে করে লেবার রুমের ভিতরে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যেই প্রসব যন্ত্রণা, রেলের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশনে সন্তানের জন্ম 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসপাতালের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়টি শুনেছেন। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। হাসপাতালের এমএসভিপি নরেশকুমার গর্গ বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ 

প্রসূতির দাবি, তিনি স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রসব যন্ত্রণার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাঁরা আমায় সেখানে অপেক্ষা করতে বলেছিল। আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করাতে বলেছিলেন। আমি সেটা করি। এরপর প্রসব যন্ত্রণা বাড়লে আমার আত্মীয়রা এবং আমি নিজে লেবার রুমে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমায় ঢুকতে দেয়নি।’ 

এদিকে, মহিলাকে লেবার রুমে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে আত্মীয়দের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা বাঁধে। পরিবারের দাবি, তারপরেও লেবার রুমে ভর্তি না করায় ওই মহিলা লেবার রুমের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সন্তান প্রসব করেন।

প্রসূতির জানান, ঘটনার কয়েক মিনিট পর নার্স তাঁকে পরীক্ষা করতে আসেন। মেঝেতে কোনও কাপড় ছিল না। শিশুটিকে কাপড়ের উপর রাখা হয়েছিল। পরে নার্সরা বাইরে এসে ওই মহিলার কাছে জানতে চান কেন তিনি লেবার রুমে যাননি। জানা গিয়েছে, শান্তি এবং তাঁর স্বামী একজন কারখানার কর্মী। তিনি গুরুগ্রামের রাজেন্দ্র পার্কে থাকেন।