কুমিরের সঙ্গেই প্রেম করে বিয়ে করলেন মেক্সিকোর হোমড়াচোমড়া ব্যক্তি। চারপেয়ে এই সরীসৃপকে অনেক দিন ধরেই ভালোবাসেন তিনি। মন দেওয়ানেওয়াও হয়েছে। অবশেষে মালাবদলটাও সেরে ফেললেন দুজনে। সম্প্রতি মেক্সিকোর এক গণ্যমান্য ব্যক্তিই বিয়ে করলেন কুমিরকে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাতে ওই কুমগরকে চুমুও খেতে দেখা যায়। তবে হঠাৎ মানুষ ছেড়ে কুমিরকে বাঁচলেন ইনি? সে কারণও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Hair Mask Tips: হেয়ার মাস্ক হিসেবে দারুণ কাজ দেয় দইয়ের ৫ মিশ্রণ, ব্যবহার করলেই সুফল
আরও পড়ুন: কীভাবে হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে ত্রিপুরায় রথ দুর্ঘটনা? তদন্ত কমিটি ইসকনের
মেক্সিকোর সান পেড্রো হুয়ামেলুলার মেয়র ভিক্টর হুগো শশা। সম্প্রতি তিনিই বিয়ে করেছেন একটি কুমিরকে। বাধ্য হয়ে নন, প্রেম ভালোবাসা করেই সে বিয়ে। তবে এই বিয়ের একটি কারণ আছে। সান পেড্রো হুয়ামেলুলা সেখানকার আদিবাসী চন্টাল মানুষ অধ্যুষিত। তাদেরই একটি বিশেষ প্রথা হল কুমিরের সঙ্গে বিয়ে। কেন এই প্রথা? সংবাদ সূত্রে খবর, এই বিয়ে হলে নাকি আদিবাসীদের কপালে সৌভাগ্য ফিরে আসবে। সেই সৌভাগ্য ফেরাতেই সবার মানগণ্য কাউকে কুমির বিয়ে করতে হবে। এই দিন ভিক্টর হুগো শশার সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয় অ্যালিসিয়া আদ্রিয়ানার। প্রসঙ্গত এলিসিয়া একটি কাইম্যান প্রজাতির প্রাণী। এই প্রাণীর সঙ্গে কুমিরের সাদৃশ্য অনেক। প্রধানত মেক্সিকো মধ্যে আমেরিকাতে এই প্রাণীর আধিক্য বেশি। তবে শসার কথা য় এই এলিজি ওর রাজকন্যা। চন্টাল গোষ্ঠীর ভাষাৎ যাদের আদতে তাদের দা প্রিন্সেস গার্ল বলা হয়। এই বিশেষ প্রথা চলাকালীন শসা বলেন, আমি ওর সব দায়িত্ব নিলাম, কারণ আমি ওকে ভালোবাসি। আর এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা না থাকলে বিয়ে হয় না। প্রিন্সেস গার্ল এর সঙ্গে আমার সেই বিয়েই সম্পন্ন হল।
এর আগেও কি এমন বিয়ে হয়েছিল? না এই প্রথম? জানা যাচ্ছে প্রায় ২৩০ বছর আগে মেক্সিকোতে এমনই একটি বিয়ে হয় চন্টাল আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়। সেবার চন্টাল ও অন্য এক আদিবাসী গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে শান্তি চুক্তিতে আসে, একটি বিয়ের আয়োজনেই তা সম্পন্ন হয়। কথিত আছে চন্টাল দলপতি কায়মানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে দুর্ভাগ্যজনিত নানা সমস্যা দূর হয়। প্রসঙ্গত এই রাজকন্যাও আসে এক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর থেকে। হুয়েভ গোষ্ঠীর রাজকন্যা হল অ্যালিসিয়া। ওয়াক্সাকা রাজ্যের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় হুয়েভদের বাস। শহরের থেকে এই এলাকা বেশি দূরেও নয়।