Stone pelting at Vande Bharat: ফের পাথর ছোড়া হল বন্দে ভারত লক্ষ্য করে, ভাঙল লাখ টাকার জানলার কাচ

দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত আক্রান্ত হয়েছে বিহারের সীমানাতেও। ফের এই একই ঘটনা ঘটল বন্দে ভারতকে ঘিরে। এবার পাথর ছোড়া হয়েছে কর্ণাটকে। জানা গিয়েছে, ধারওয়াড় থেকে দেবাঙ্গিরির মধ্যে কোনও এক জায়গায় এই পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে ভেঙেছে জানলার কাচ। রেল সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, বন্দে ভারতের এক একটা জানলার কাচের দাম প্রায় এক লাখ টাকা। এই আবহে কর্ণাটকে বন্দে ভারতের ওপর হামবার ঘটনাতেও রেলের আনুমানিক লাখ টাকার লোকসান হয়ে থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন ধারওয়াড়-বেঙ্গালুরু বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর দু’দিনের মাথায় এই ঘটনা। এই আবহে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পাথর ছোড়ার ঘটনায় কাচ ভাঙলেও কোনও যাত্রী আহত হননি। এদিকে হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়, শনিবার কর্ণাটকের ধারওয়াড় থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল বন্দে ভারত। সদ্য এই রুটে বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ট্রেনেই হামলা চালানো হয়। রেলের তরফে জানানো হয়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি ধারওয়াড় স্টেশন ছেড়ে এগিয়ে যায় দেবাঙ্গিরি স্টেশনের দিকে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ট্রেনটি যখন দেবাঙ্গিরি স্টেশনের কাছকাছি, তখন পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

পাথর ছোড়ার ঘটনায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সি৪ কামরার জানলার কাচ ভেঙে যায়। এদিকে বন্দে ভারতের কামরার বাইরের দিকে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে হামলার স্থান, কাল, পাত্রর বিষয়ে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে রেল সুরক্ষা বাহিনী। উল্লেখ্য, এর আগে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত ট্রেনে একাধিকবার পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, বিলাসপুর-নাগপুর, দিল্লি-উনা, চেন্নাই-মাইসোর, হায়দরাবাদ-বিশাখাপত্তনম রুটেও বন্দে ভারতের ওপর পাথর হামলা হয়েছে। কর্ণাটকেও এর আগে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হাওড়া-এনজেপি রুটে বন্দে ভারতের ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনায় বিহার থেকে দোষীদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল। অন্যান্য ঘটনার ক্ষেত্রেও দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে বারবার রেলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজাও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পাথর ছোড়ার ঘটনা থামার নাম নেই।