Kolkata to Bangkok highway work progress: কলকাতা-ব্যাঙ্কক হাইওয়ে তৈরির কাজ কতটা হল? জানালেন গডকড়ি, যাবে উত্তরবঙ্গেও

স্বপ্নের ত্রিদেশীয় হাইওয়ে নির্মাণের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতীন গডকড়ি। তবে সেই হাইওয়ে নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যে হাইওয়ে তিনটি দেশের (ভারত, মায়ানমার) মধ্যে দিয়ে যাবে। কলকাতা থেকে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত, মায়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে পৌঁছে যাবে সেই হাইওয়ে। সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে আর বিমান লাগবে না, গাড়ি চালিয়েই কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককে যেতে পারবেন মানুষ। যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য, পর্যটন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিবহণের ভোল পালটে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।

আরও পড়ুন: মাত্র ১৭ ঘণ্টাতেই চলে যান দিল্লি! শীঘ্রই চালু হচ্ছে বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে

এমনিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় হাইওয়ে চালু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রবিবার নয়াদিল্লিতে গডকড়ি বলেছেন যে ‘ওই প্রকল্পের (ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় হাইওয়ে) প্রায় ৭০ শতাংশের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।’ তবে কতদিনের মধ্যে সেই প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে এবং কবে সেই হাইওয়ের উদ্বোধন করা হবে, তা নিয়ে কিছু জানাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: নয় বছরে ৫০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ মোদী সরকারের!

কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক হাইওয়ে

‘বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’-র আওতায় সেই স্বপ্নের হাইওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। যে রুট ধরে হাইওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, তাতে কলকাতা থেকে হাইওয়ে শুরু হবে। তারপর শিলিগুড়ি ছুঁয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করবে। উত্তর-পূর্ব ভারতে একটা বড় অংশ অতিক্রম করবে ওই হাইওয়ে। অসমের গুয়াহাটি, মণিপুরের মোরে, নাগাল্যান্ডের কোহিমার উপর দিয়ে মায়ানমারে প্রবেশ করবে। মায়ানমারে বিভিন্ন এলাকা পেরিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে ব্যাঙ্কক পর্যন্ত যাবে ওই হাইওয়ে।

গত মাসে কলকাতায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের অনুষ্ঠানে সেই স্বপ্নের হাইওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি উঠে এসেছিল। সেই অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দাবি করেছিলেন, তাঁদের দেশের যে অংশ দিয়ে হাইওয়ে যাবে, সেটার কাজ শেষের মুখে পৌঁছে গিয়েছে। মায়ানমারের প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, জোরকদমে হাইওয়ের কাজ চলছে। বছরতিনেকের মধ্যে হাইওয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।