SC On Manipur: মণিপুর নিয়ে আরও এক রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, জানাল রাজ্য

 মণিপুর হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক তথ্য সম্বলিত একটি নয়া রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ মণিপুরের রাজ্য সরকারকে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে, মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে আসছে। মণিপুরের হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এরপর ১০ জুলাই মামলার শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে সোমবার মণিপুর নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে ও মণিপুর রাজ্যের তরফে হাজির ছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি মণিপুর রাজ্যের তরফে জানান, ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানির আগের দিনই মণিপুরে ন্যাশনাল হাইওয়ে-২ থেকে কুকি উপজাতির দুই সংগঠন রাস্তা অবরোধ তুলে নেয়। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে শুনানিতে এদিন এমন বার্তা আসে। উল্লেখ্য, রবিবারই ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট ও কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন জানিয়ে দিয়েছে, তারা ন্যাশমাল হাইওয়ে-২ থেকে তুলে নিচ্ছে রাস্তা অবরোধ। এককালে এই সংগঠনগুলি ছিল মণিপুরের উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির অন্যতম। পরে এরা হাত মিলিয়েছে সরকারের সঙ্গে। ফলে আত্মসমর্পণের রাস্তায় তারা হাঁটে। সেই সংগঠনগুলি মণিপুরের জাতি সংঘাতের পর থেকে রাস্তা অপরোধ সমেত একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকলকের কাছে শান্তি রক্ষার আবেদন করেছিলেন। তারপরই আসে কুকি গোষ্ঠীর এই বার্তা। এরপর সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তুলে ধরে এই ইস্যুতে তার অবস্থান। সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর হিংসা নিয়ে চেয়েছে আপডেটেড রিপোর্ট।

( Monsoon Weather Update: গোটা দেশে ‘এন্ট্রি’ নিয়ে নিয়েছে বর্ষা! ঘোষণা আইএমডির, আগমন ‘স্বাভাবিক’ সময়ের কিছু দিন আগে)

প্রসঙ্গত গত ৩ মে থেকে অশান্ত মণিপুর। সেদিন ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ থেকে শুরু হয় সেরাজ্যে জাতিগত সংঘাত। এরপর থেকে কার্যত সংঘাতের আগুনে বিধ্বস্ত হয় মণিপুর। কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হয় ব্যবস্থা। রাজ্য প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। পরে দিল্লিতে এই নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। সেখানে সব কয়টি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের ইস্তফার। পরে বীরেন সিং ইস্তফার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলেও শেষমেশ তা পেশ করেননি। পরে তিনি জানান, তিনি ‘কঠিন সময়ে’ পদ ছেড়ে যাবেন না। এরপরই তিনি এও জানান যে কেন তিনি এই ইস্তফার রাস্তায় হাঁটতে চেয়েছিলেন। 

 

(বিস্তারিত আসছে।)