নিজেই ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে এখন কমিশন বলছে, মাত্র ১৫০০০ বুথে আধাসেনা থাকবে

বিএসএফের নিয়ম মেনে চললে রাজ্যে ১৫ হাজারের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যেতে পারে। আদালতে একথা জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, ৮২২ কোম্পানি বাহিনী তো চেয়েছে তারাই। তার থেকে বেশি বাহিনী চাইতে তাদের বারণ করেছিল কে?

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত মামলা ওঠে। সেখানে কমিশনের আইনজীবী জানান, রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। প্রতিটি কোম্পানিতে ৮০ জন করে সক্রিয় জওয়ান পাবে বলে ধরে নিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৬৫০০০। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ম মেনে প্রতি বুথে ৪ জন করে জওয়ানকে মোতায়েন করতে হয়। সেই নিয়ম মেনে ৬৫০০০ জওয়ানকে ১৫০০০ বুথে মোতায়েন করা যেতে পারে। তবে কমিশনের হাতে ৭০০০০ রাজ্য পুলিশের কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।

এর পরই বিএসএফের সঙ্গে কমিশনকে আলোচনা করার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। প্রতি বুথে ২ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করে অন্তত ৩০০০০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা যায় কি না তা আলোচনা করে দেখতে বলেন তিনি। অবশিষ্ট বাহিনীর জন্য প্রয়োজনে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০১৩ সালের থেকে বেশি আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে ২০১৮ সালের থেকে মাত্র ১ কোম্পানি বেশি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রশ্ন হল, বাহিনী চেয়ে চিঠি লেখার সময় কি রাজ্যে বুথের সংখ্যা জানা ছিল না কমিশনের? তাহলে তারা কেন পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল না? না কি শেষপর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা ছাড়াই তারা ভোট করাবে বলে ঠিক করে রেখেছিল কমিশন?