Supreme Court Cases: নয়া ধাঁচের জাতিপ্রথা ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের বিরোধিতায় মামলা, খারিজ SC-র

ভারতে যে বর্ণপ্রথা আছে, সেটার পুনর্বিন্যাসের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। মামলাকারী আইনজীবীর প্রতি চূড়ান্ত বিরক্তি প্রকাশ করে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার বেঞ্চ। সেইসঙ্গে হিন্দু উত্তরাধিকারী আইনের বিরোধিতা করে দায়ের হওয়া মামলা এবং ধাপে-ধাপে সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে দায়ের হওয়া মামলাও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: SC on Suicide of Married Men: ‘এক তরফা ছবি’, বিবাহিত পুরুষদের ঘরোয়া বিবাদে আত্মহত্যা সংক্রান্ত মামলায় এল সুপ্রিম বার্তা

বর্ণপ্রথার পুনর্বিন্যাস নিয়ে জনস্বার্থ মামলা

সচিন গুপ্তা নামে মামলাকারী আইনজীবী আর্জি জানান, ভারতে যে বর্ণপ্রথা আছে, তার পুনর্বিন্যাস করা হোক। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই ধরনের জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে আদালতে অপব্যবহার করা হচ্ছে। খারিজ করে দেওয়া হয় মামলা।

আরও পড়ুন: Consent for sexual relationship-মেয়েদের সম্মতির বয়সসীমা কমানো উচিত, সওয়াল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের

সেইসঙ্গে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। যে অর্থ সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে জমা দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে জরিমানার অঙ্ক এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। পরে তা ২৫,০০০ টাকা করা হয়। 

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে মামলা

মঙ্গলবার হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলাও খারিজ হয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, মামলাকারী এটা জানাননি যে কীভাবে হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন তিনি। এগুলি পুরোপুরি ব্যক্তিগত আইন। যে আইনে উত্তরাধিকারের বিষয় আছে। তাই সেই বিষয়টির সঙ্গে যোগ নেই, এমন কোনও ব্যক্তির আবেদন শুনবে না সুপ্রিম কোর্ট।

 সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা

বর্ণপ্রথা নিয়ে যে আইনজীবীর মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, সেই আইনজীবী অপর একটি মামলায় আর্জি জানান, ভারতে আপাতত যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা আছে, তা ধাপে-ধাপে তুলে দেওয়া হোক। পরবর্তীতে নয়া কোনও পদ্ধতি কোনও মডেল চালুর আর্জি জানান সচিন। 

সেই মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই পিটিশনের কোনও মানে হয় না, পুরোপুরি ভিত্তিহীন পিটিশন। শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, ‘এই পিটিশন আদতে আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের উদাহরণ। সুপ্রিম কোর্টে কল্যাণমূলক তহবিলে ২৫,০০০ টাকা জমা দেওয়ার জন্য আইনজীবীকে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা। দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা প্রদানের নথি পেশ করতে হবে।’