Phosphate discovery- আবিষ্কার হল বিপুল পরিমাণ ফসফেট, ব্য়াটারির জন্য় ১০০ বছরের জোগান নিশ্চিন্ত

নরওয়েতে আবিষ্কৃত হল একটি বিশাল ফসফেট রক ডিপোজিট। ধারণা করা হচ্ছে এই সঞ্চিত ফসফেট রকে যে পর্যাপ্ত খনিজ রয়েছে তা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য ব্যাটারি এবং সৌর প্যানেলের বিশ্বব্যাপী চাহিদা মেটাতে সক্ষম। নরওয়েজিয়ান মাইনিং কর্তৃপক্ষ বলেছে যে টাইটানিয়াম এবং ভ্যানাডিয়ামের মতো অন্যান্য স্ট্র্যাটেজিক খনিজগুলি দক্ষিণ-পশ্চিম নরওয়ের আশেপাশে উন্মোচিত হতে পারে। যার পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন টন। ফসফেট শিলায় ফসফরাস অধিক ঘনত্বযুক্ত রূপে অবস্থান করে, যা গ্রিন টেকনোলজি তৈরির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বর্তমান এটি সরবরাহ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। 

ফসফরাস প্রথম ১৬৬৯ সালে জার্মান বিজ্ঞানী হেনিগ ব্র্যান্ডট আবিষ্কার করেছিলেন। বর্তমানে এটি বৈদ্যুতিক গাড়ির লিথিয়াম-লোহা ফসফেট ব্যাটারির পাশাপাশি সোলার প্যানেল এবং কম্পিউটার চিপগুলির জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে। রাশিয়া এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম বিশুদ্ধ ফসফেট শিলার জোগান দিত। এবিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করেছিল এই ব্যাপক পরিমাণে সরবরাহের বিষয়ে। দ্য হেগ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বর্তমানে বিশ্বের বাকি দেশগুলি সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ফসফেট রক আমদানির ক্ষেত্রে। চিন, ইরাক এবং সিরিয়াতেও ফসফরাসের সঞ্চয় লক্ষ্যণীয়। 

বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচারে গত বছর একটি লেখায় সতর্ক করা হয়েছিল আগামীতে ফসফরাসের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং পরবর্তী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলিকে বাজারের অস্থিরতার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উল্লেখ করে। বিশ্ব বাজারে প্রতি বছর আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন টন ফসফরাসের জোগান দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এই বছরের শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে সরবরাহের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে গ্রহটি ‘ফসফোজেডন’ এর মুখোমুখি হতে পারে। প্রসঙ্গত অধিক পরিমাণে ফসফরাস ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন ঘাটতি দেখা যাবে এই আকরিকের, তেমনই অধিক ব্যবহারে উৎপন্ন হবে মিথেন গ্যাস, যা পরিবেশের জন্য বিপদ সংকেত। 

নরওয়ের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, জ্যান ক্রিশ্চিয়ান ভেস্ট্রে গত বলেন যদি অনুমোদন দেওয়া হয়, প্রথম বড় খনিটি ২০২৮ সালের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র এই আবিষ্কারকে ‘মহান সংবাদ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। নরওয়েজিয়ান মাইনিং কর্তৃপক্ষ বলেছে, অনুমান করা হচ্ছে ৪৫০০ মিটার গভীর খনিটি বিশ্বব্যাপী ফসফরাসের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। এমনকি আগামী এক শতাব্দী পর্যন্ত ফসফরাসের জোগান দেবে এই খনি, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।