ধৃত ছেলেকে বাঁচাতে বনেট আঁকড়ে ধরলেন মা, ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে গাড়ি থামাল পুলিশ

মধ্যপ্রদেশে ফের অমানবিক পুলিশ। মাদক মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় পুলিশের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে চলন্ত গাড়ির বনেট আঁকড়ে ধরলেন মা। অথচ গাড়ি না থামিয়ে সেই অবস্থাতে গাড়ি চালিয়ে গেল পুলিশ। এইভাবে গাড়ির বনেট আঁকড়ে থাকা মহিলাকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে থানায় পৌঁছল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুরে। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। ঘটনার পরেই তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘আপনাদের মনে হচ্ছে যে বাংলায় হিংসা হচ্ছে?’ ভোটের আগে প্রশ্ন রাজ্য পুলিশের DG-র

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মাদক পাচার বিরোধী অভিযানে নেমেছেন নরসিংহপুরের পুলিশ সুপার অমিত কুমার। ইতিমধ্যেই মাদক মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গোতেগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। ধৃতদের মধ্যে এক যুবকের মা আচমকা গাড়ির সামনে চলে আসেন এবং গাড়ির বনেট আঁকড়ে ধরে তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে গাড়ি থামালে মাদক পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে পারে সেই আশঙ্কায় পুলিশ গাড়ি থামায়নি। ৫০০ মিটার দূরে থানায় গিয়ে গাড়ি থামায় পুলিশ। যদিও দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ ধীর গতিতেই গাড়ি চালিয়েছিল। তবে কোনও একজন সেই ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

জানা গিয়েছে, ওই একজন ফুল বিক্রেতা। ছেলেকে গ্রেফতার করার খবর শুনেই তিনি ছুটে পুলিশের গাড়ির সামনে চলে আসেন এবং বনেট আঁকড়ে ধরেন। পুলিশ গাড়ি না থামলেও তিনি বনেট ছাড়তে চাননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়িকে ঘিরে ভিড় করেন স্থানীয়রা।

অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে আরও একটি ঘটনায় এক আদিবাসী শ্রমিকের গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ঘটেছে। ঘটনার ৬ দিন পর মঙ্গলবার পুলিশ ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।