Toilet water offered to Students: স্কুলে বাথরুমের জল খেতে দেওয়া হল পড়ুয়াদের! অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম, তদন্তে পুলিশ

হস্টেলে পানীয় জলের জায়গায় দেওয়া হয়েছে বাথরুমের জল। এই অবিযোগে এক প্রাইভেট স্কুল ঘিরে চাঞ্চল্য যোধপুরে। রাজস্থানের যোধপুরের বালেসারে বুধবার ওই প্রাইভেট স্কুলের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনা ঘিরে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা পুলিশ ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই প্রাইভেট স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১১ জন পড়ুয়ার সঙ্গে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে পড়ুয়ারা যখন দেখে, যে জল বাথরুম থেকে এনে দেওয়া হচ্ছে, তখন থেকেই। পরে পড়ুয়াদের একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয় কোনও খাবার-দাবার ছাড়াই। স্কুলের হস্টেলে এই ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য সঙ্গীতা বেনিওয়াল বলেন, ‘শুধুমাত্র রবিবারে তাদের বাবা-মায়ের সাথে কথা বলার অনুমতি ছিল পড়ুয়াদের। যাইহোক, আমরা মঙ্গলবার তাদের অভিভাবকদের তরফে ফরোয়ার্ড করা কিছু ভিডিও পেয়েছি, যা শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল ফোনে গোপনে শুট করা হয়। ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে কর্তৃপক্ষ কেমন আচরণ করেছে, তার দৃশ্য। এমনকি কর্মীদের হাতে মারধরও করা হয়েছে বহুবার। আমরা একটি তদন্ত দল গঠন করেছি যারা ছাত্র এবং হোস্টেল কর্তৃপক্ষ উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে।’

(আরও পড়ুন- Man addicted to porn: পর্নের নেশায় বুঁদ স্বামী! স্ত্রীকে পর্নস্টারদের মতো পোশাক পরতে বাধ্য করতেন, দায়ের অভিযোগ)

তিনি আরও বলেন, এই স্কুলকে ‘আর্মি স্কুল’ হিসাবে আখ্যা দেওয়া হলেও, তা কতটা সত্যি তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। কারণ প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্যে এই স্কুলের কারোর সঙ্গে সেনা বাহিনীর কারোর যোগ পাওয়া যায়নি। ফলে সেই সংক্রান্ত তদন্তও হবে। এদিকে, পুলিশি তদন্তে দেখা গিয়েছে, স্কুলের দুই বোর্ড সদস্যের সংঘাতের বলি হয়েছে পড়ুয়ারা। স্কুল গত বছর থেকেই শুরু করেছে ইংরেজি মাধ্যমের পড়াশুনো। সেখানে এই ১১ জন পড়ুয়াকে প্রথমে ভর্তি নেওয়া হয়। পরে জোর করে তাদের হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়তে পাঠানো হয়। আর তা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের দুই কর্তার মধ্যে সংঘাতের জেরে। অভিভাবকরাও পুলিশকে জানিয়েছেন যে কয়েকদিন আগে বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের বিরোধ হয়েছিল। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা আবার কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে তাদের ইংরেজি মাধ্যম বিভাগে রাখার জন্য জিজ্ঞাসা করে। তারপরই তাদের তালাবন্ধ করা হয়।