বাংলাদেশের লালমনিরহাটে কমেছে তিস্তার জল, কাদার জেরে অবশ্য দুর্ভোগ কমেনি

লালমনিরহাটে তিস্তাপাড়ে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নদীর জল নামতে শুরু করেছে৷ তবে নদীর জলে কাদা সৃষ্টি হওয়ায় প্লাবিত গ্রামের মানুষের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার জল বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ ধরলা নদীর জলও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ সকালে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন লালমনিরহাট জল উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার সুনীল কুমার৷

সুনীল কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়া আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের জল আসা বন্ধ হওয়ায় দ্রুত কমেছে তিস্তা নদীর জল। বুধবার সকালে তিস্তার জল বিপদসীমা অতিক্রম করায় তিস্তাপাড়ের চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়৷ প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নদীর জল নামতে শুরু করেছে৷ এখনো বেশি কিছু এলাকার ঘর-বাড়িতে নদীর জল রয়েছে৷ আপাতত লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কোনও শঙ্কা নেই বলে তিনি জানান৷

লালনিরহাট সদর উপজেলার বাগডোরা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বুধবার সকালে তাঁদের ঘরের ভিতরে জল ঢুকেছিল৷ রাতে নদীর জল ঘর থেকে নেমে গিয়েছে৷ এখনও বাড়ির উঠোনে জল আছে৷ নদীর জল ঢুকে পড়ার কারণে বাড়ির ভিতরে ও বাইরে কাদা৷ এজন্য চলাচল করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷

হাতিবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৬০) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিস্তা নদীর জলের কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না৷ সকালে যদি তিস্তার জল বিপদসীমার ওপরে চলে যায় তো, বিকেলে চলে আসে বিপদসীমার নিচে৷ ঘর-বাড়ি থেকে নদীর জল নেমে গিয়েছে৷ আমন বীজতলা থেকে জল নেমে গিয়েছে৷ রাস্তা-ঘাট থেকে পানি নেমে গেছে কিন্তু কাঁদা সৃষ্টি হওয়ায় চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷

আদিতমারি উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের দিনমজুর মিজানুর রহমান (৪৬) বলেন, তিস্তা নদীতে জল বাড়লে তাঁদের বাড়িতে নদীর দল ঢুকে পড়ে৷ জল নেমে গেলে বাড়িতে কাদার সৃষ্টি হয়৷ জল বাড়লেও কষ্ট আর জল কমলেও দুর্ভোগে পড়তে হয় তাঁদের৷

কুড়িগ্রাম জল উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার আবদুলাল্হ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামে প্রধান নদ-নদী ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা ও গঙ্গাধরের জল বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ আপাতত বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই৷ তবে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন৷ নদী ভাঙন ঠেকাতে জল উন্নয়ন বোর্ড থেকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে তিনি জানান৷

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)