লিফট-এসকেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

লিফট ও এসকেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।

রবিবার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলিয়া আয়োজিত ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে লিফট ও এসকেলেটরের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি’তে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। 

সংগঠনটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মোট ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসকেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে মোট ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বেলিয়া সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের লিফট এবং এসকেলেটরের বর্তমানে চলমান হাতে নেওয়া কার্যাদেশের মূল্য প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার বা ইউরোর মুদ্রার বিনিময় মূল্যের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকর না থাকায় ডলার বা ইউরোর অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে এমনিতেই সরবরাহকারী বা আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস। তার উপর বাজেটে অতিরিক্ত শুল্ক যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। অতএব এই শিল্পের সুরক্ষার্থে গত বৎসরের কার্যাদেশের উপর আগের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক বা কর বহাল রাখতে সরকারের সুবিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।’

উপরোক্ত যৌক্তিক ও মানবিক দিক বিবেচনাসাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মোতাবেক পদক্ষেপ নিলে বিগত ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে অর্জিত সক্ষমতার আলোকে বাংলাদেশকে একটি টেকসই লিফট শিল্প উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। যা বাংলাদেশের মাঝারি শিল্প তথা উন্নয়নকে করবে আরও বেগবান, প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়ন এবং সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

মানববাহন লিফটের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশে লিফট স্ট্যান্ডাড প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করাও এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বেলিয়া সরকারের সঙ্গে একযোগে এই আমদানিনির্ভর সেক্টরের বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন, সেফটি এবং স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে একযোগে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। তাই উপরোক্ত বিষয় ও পরিস্থিতির আলোকে সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য লিফট এবং এসকেলেটরকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের শুল্ক করহার বহাল রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে বেলিয়া’র সহ-সভাপতি আক্তার জামিল ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে মো. সাইফুল ইসলাম, অচিন্ত কুমার বিশ্বাসসহ সংগঠনের প্রায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।