US Chemical Weapons destroyed: ১৯২৫-এ নিষিদ্ধ হয় প্রয়োগ, এতদিনে নষ্ট করা হল আমেরিকার হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র

রাসায়নিক অস্ত্র থাকার অভিযোগে জর্জ ডাব্লু বুশের অধীনে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। মধ্যপ্রাচ্যের সেই দেশের একনায়ক সদ্দাম হুসেন গদিচ্যুত হয়েছিলেন সেই যুদ্ধে। এহেন আমেরিকা সম্প্রতি তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা শেষ রাসায়নিক অস্ত্রগুলি নষ্ট করেছে বলে জানিয়েছেন রিপাবলিকান সেনেটর মিচ ম্যাককনেল। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করতে সচেষ্ট হয়েছিল বিশ্বের বহু দেশ। সেই প্রচেষ্টা শুরুর ২৬ বছর পর নিজেদের অস্ত্রাগারে থাকা সর্বশেষ রাসায়নিক অস্ত্রগুলি নষ্ট করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করা নিয়ে হোয়াইট হাউজের থেকে একটি বিবৃতি আশা করা হচ্ছিল। তবে তার আগে রিপাবলিকান সেনেটরই এই নিয়ে মুখ খোলেন জনসমক্ষে। তিনি জানান, আমেরিকার হাতে থাকা ৫০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র নষ্টের কাজ শুরু হয়েছিল ৪ বছর আগে। সম্প্রতি সেই কাজ সম্পন্ন করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। উল্লেখ্য, বিগত চারদশক ধরে মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডারে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ছিল। মাস্টার্ড এবং নার্ভ গ্যাস ভরতি রকেট ছিল তাদের হাতে। উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্রের বিভীষিকা দেখেছিল বিশ্ব। প্রথাগত যুদ্ধের আড়ালে দমবন্ধ করে শত্রুকে মারার এই ভয়ানক দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। এরপর ১৯২৫ সালে জেনেভা কনভেনশনে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে বহু দেশের কাছেই এরপরও থেকে গিয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র। করণ রাসায়নিক অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবে গত শতাব্দীর শেষ লগ্নে এসে সব দেশই সম্মিলিত ভাবে নিজেদের ভাণ্ডারে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র নষ্টের জন্য উদ্যোগ নেয়। তবে এরপরও অনেক ক্ষেত্রেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে বহু দেশের বিরুদ্ধে।

এই আবহে মার্কিন সেনেটর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মানবতার অধ্যায়ে কিছু বিভীষিকাময় পর্বের জন্য দায়ী রাসায়নিক অস্ত্র। এই ধরনের অস্ত্রের প্রয়োগ ইতিহাসের পাতায় একটি কালো দাগ হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। তবে আমাদের দেশ নিজেদের করা প্রতিশ্রুতি রেখেছে। আমাদের অস্ত্র ভাণ্ডারে থাকা সব রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করা হয়েছে।’ এদিকে ১৯৯৭ সালে রাসানিক অস্ত্র নষ্টের চুক্তিতে সই করা বাকি দেশগুলি আগেই তাদের হাতের যাবতীয় অস্ত্র নষ্ট করেছে বলে জানান ‘অর্গনাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অফ কেমিক্যাল ওয়েপনস’-এর প্রধান ফার্নান্দো আরিয়াস। এই সংস্থার নজরদারিতে বিগত আড়াই দশকে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৭০ হাজার টন রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।