DRDO Scientist Honey trapped: ‘বেব…’, ISI এজেন্টের লালসায় ভারতের মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার DRDO বিজ্ঞানীর

ভারতের মিসাইল ও ড্রোন প্রোগ্রাম পাকিস্তানের হাতে তুলে দেন মধুচক্রের ফাঁদে পড়া ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী। গত ৩ মে প্রদীপ কুরুলকর নামক সেই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্রের জঙ্গি দমন শাখা বা এটিএস। সেই বিজ্ঞানীকে জেরা করে কিছু ‘বিস্ফোরক’ চ্যাট হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, এক লাস্যময়ী আইএসআই এজেন্টের হাতে সেই বিজ্ঞানী তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। সম্প্রতি এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে মহারাষ্ট্রের এটিএস। সেখানেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তদন্তকারীদের তরফে।

জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুন বিশেষ আদালতের কাছে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেছিল এটিএস। সেখানে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর এবং প্রদীপের বিস্ফোরক সব চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যৌন লালসায় ভারতের অনেক গোপন তথ্য পাচার করেছেন প্রদীপ। উল্লেখ্য, গ্রেফতারির সময় প্রদীপ ডিআরডিও-র রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, সেই আইএসআইএ এজেন্ট বিভিন্ন নামে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখান থেকেই প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে। জানা গিয়েছে, ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির দু’জন ‘ব্যবহারকারী’র নাম হল- জারা দাশগুপ্ত এবং জুহি আরোরা। বলাই বাহুল্য, এই নামের কোনও মহিলা এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রদীপের সঙ্গে কথা বলত না। তবে যৌন লালসায় বুঁদ প্রদীপ ফাঁদে পড়ার বিষয়টি আন্দাজ করতে পারেননি। লন্ডনের আইএসডি কোডের নম্বর থেকে প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত এই দুই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে। এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রদীপ মিটিওর মিসাইল, ব্রহ্মোস, রাফাল, আকাশ ও অস্ত্র মিসাইল নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতেন। এমনকী অগ্নি ৬ মিসাইলের লঞ্চার নিয়েও তথ্য ফাঁস করে দেন প্রদীপ।

এদিকে ডিআরডিও-র ড্রোন প্রোগ্রাম নিয়েও প্রদীপ তথ্য ফাঁস করেছিলেন আইএসআই এজেন্ট ‘জারা দাশগুপ্ত’র কাছে। উল্লেখ্য, পুণের বাসিন্দা প্রদীপ নিজে বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। চার্জশিটে জানানো হয়েছে, প্রদীপের থেকে ‘জারা দাশগুপ্ত’ জানতে চেয়েছিল যে অগ্নি ৬ মিসাইল লঞ্চারের পরীক্ষা সফল হয়েছিল কি না। জবাবে নাকি প্রদীপ মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, ‘বেব, ওটা আমার ডিজাইন। সফল না হয়ে যায় না।’ জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে কথোপকথন চলে ডিআরডিএ বিজ্ঞানীর। পরে মার্চ মাসে প্রদীপের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ডিআরডিও কর্তৃপক্ষ মহারাষ্ট্র এটিএস-এর দ্বারস্থ হয়। মে মাসে প্রদীপকে গ্রেফতার করে এটিএস। এদিকে আইএসআই এজেন্টের কথা মতো প্রদীপ নিজের ফোনে দু’টি অ্যাপ ইনস্টল করেছিলেন। তদন্তকারীদের ধারণা, সেই অ্যাপ থেকে প্রদীপের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল।