অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধের পরামর্শ ইউজিসির

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ বন্ধসহ অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

রবিবার (৯ জুলাই ২০২৩) ‘পে-রোল অ্যান্ড স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম’ বিষয়ে দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেয় ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মার্ট একাউন্টিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগ এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হয় এমন প্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।’ অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ না করতে তিনি ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বানও জানান তিনি।

কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইউজিসিকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং অটোমেশনে কমিশনকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্যথায়, উচ্চশিক্ষা খাত পিছিয়ে পড়ার তিনি আশঙ্কা রয়েছে।

কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান ।

অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ইউজিসি স্মার্ট অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং, ভাউচার, চেক প্রদান দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করা যাচ্ছে। এতে অপ্রোজনীয় ব্যয় বন্ধ হচ্ছে, দুর্ভোগ লাঘব এবং সময় সাশ্রয় হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পে-রোল অ্যান্ড স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম চালু রয়েছে। আগামীতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং নজরদারি সহজ হবে এবং অপ্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় চিহ্নিত করা যাবে। সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বাড়বে এবং অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘সফটওয়্যার ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ প্রেরণ সহজতর হলেও এর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, উপপরিচালক আব্দুল আলীম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সফটওয়্যার সেলের সিইও মো. ওলিউল্লাহ ও সিটিও হাসনাইন শুকন ।

প্রশিক্ষণে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।