Joe Biden to Xi Jinping: ‘হুমকি নয় পর্যবেক্ষণ, জিনপিংকে সাবধান হতে বলেছি’, মন্তব্য জো বাইডেনের

জাতীয় সুরক্ষা এবং তাইওয়ান ইস্যুতে বিগত কয়েক মাস ধরেই তলানি গিয়ে ঠেকেছে চিন-মার্কিন সম্পর্ক। তবে এরই মাঝে সম্প্রতি বেজিং গিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেখানে তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর মাঝে নাকি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথাও হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সেই কথোপকথনের বিষয়ে সংবাদ চ্যানেল সিএনএন-এর সামনে মুখ খোলেন বাইডেন। তিনি দাবি করেন, জিনপিংকে নাকি তিনি সাবধান হতে বলেছেন। সিএনএন-কে বাইডেন বলেন, ‘আমি জিনপিংকে বলি – আপনাকে হুমকি দিচ্ছি না। আমার পর্যবেক্ষণ। আপনি সাবধানে থাকুন।’

ঠিক কী নিয়ে বাইডেন এই কথা বলেছিলেন? ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই নাকি চিনা প্রেসিডেন্টকে সাবধান হওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন বাইডেন। মার্কিন বিনিয়োগের প্রসঙ্গ তুলেই জিনপিংকে রাশিয়ার সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখা নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছিলেন বাইডেন। এই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যবে থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা করেছে, ৬০০ মার্কিন সংস্থা সেদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। আমি জিনপিংকে বলি – আপনি আমাকে জানিয়েছেন যে আপনার দেশের অর্থনীতি অনেকটাই ইউরোপ এবং আমেরিকার বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল। তাই সাবধান থাকুন।’ বাইডেনের দাবি, ‘জিনপিং আমার কথা শোনেন। তিনি এই নিয়ে আমার সঙ্গে তর্ক করেননি। আর এরপর থেকে কিন্তু জিনপিং রাশিয়াকে পূর্ণ সমর্থন দেননি। তাই হয়ত আমরা এই ইস্যুতে এগিয়ে যেতে পারব।’

এর আগে গত জুন মাসে মার্কিন সেক্রেটারি অফিস স্টেট দু’দিনের সফরে চিনে গিয়েছিলেন। বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ৩৫ মিনিটের বৈঠকও করেছিলেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব মেটানোর লক্ষ্যেই ব্লিনকেনের এই সফর। বিশ্বের দুই সর্ববৃহৎ অর্থনীতির পারস্পরিক দ্বন্দ্ব যে তাদের নিজেদের জন্য ভালো নয়, সেটাও ভালো করেই জানে বেজিং ও ওয়াশিংটন। তবে এরই মাঝে তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চরম দ্বন্দ্ব আমেরিকা ও চিনের মধ্যে। এদিকে কয়েক মাস আগে মার্কিন আকাশসীমায় চিনা ‘গুপ্তচর বেলুন’ দেখা গিয়েছিল। সেই বেলুনগুলিকে ধ্বংস করতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল আমেরিকা। এমনকী কানাডার আকাশেও এই ধরনের বেলুন দেখা গেলে তা খতম করে মার্কিন যুদ্ধবিমান। এই আবহে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয় চিনের। তবে ক্রমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যত হয়েছে আমেরিকা ও চিন।