Latest Health news-বিহারের প্রসূতির হৃদরোগ সারল NRS–এ, জন্ম দিলেন যমজ সন্তানের

বিহারের এক প্রসূতির হৃৎপিণ্ড প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছি। ঠিকমতো অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করতে পারছিল না ওই প্রসূতির হৃৎপিণ্ড। শেষে বিহার থেকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে এসে ওই প্রসুতির প্রাণ বাঁচল। বিহারের বাসিন্দা ওই প্রসূতি রীতা তিওয়ারি শুধুমাত্র নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে শুধু প্রাণেই বাঁচলেন না, সেখানে যমজ সন্তানেরও জন্ম দিলেন।

আরও পড়ুন: ভুল পদ্ধতিতে কেমো! হাতের মাংসপেশি গলে হাড় বেরিয়ে গেল ২ মহিলার, কাঠগড়ায় NRS

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতার এর আগে এক সন্তান ছিল। তবে আট বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। ফলে সন্তান শোকে কাতর হয়ে পড়েন রীতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপর অনকে চেষ্টা করেও মাতৃত্বের সুখ পাননি। শেষে আইভিএফের সাহায্য নিয়ে গর্ভবতী হন রীতা। তারপরে দেখা দেয় সমস্যা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তাঁর হৃৎপিন্ডে সমস্যা দেখা দেয়। অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাম্প করতে পারছিল না তাঁর হৃৎপিণ্ড। বিহারে অনেক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন রীতা। কিন্তু সেখানে সুরাহা না মেলায় শেষ পর্যন্ত বিহার থেকে ছুটে আসেন কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, রীতার হৃৎপিণ্ডের ইজেকশন ফ্র্যাকশন ১৯ শতাংশ নেমে গিয়েছিল। এই অবস্থায় সন্তান জন্ম দেওয়া খুবই জটিল।

 উল্লেখ্য, হার্ট পাম্পের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি জায়গায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। সেই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত কতটা পৌঁছাল সেটা পরিমাপ করা হয় এই ইজেকশন ফ্র্যাকশনের সাহায্যে। ইজেকশন ফ্র্যাকশন কম থাকলে সে ক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাবে শরীরে প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মানবদেহের হৃৎপিণ্ডের ডান দিকের উপরের প্রকোষ্ঠে রক্ত প্রবেশ করে। তা থেকে বাঁদিকের ভেন্ট্রিকলে রক্ত প্রভাবিত হয়। সেই ভেন্ট্রিকলের মাধ্যমে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

মানব শরীরের স্বাভাবিক ইজেকশন ফ্র্যাকশন হলো ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ। তার নিচে নেমে গেলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। রীতার ক্ষেত্রেও সেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে তাঁর শরীর ক্রমেই ঝিমিয়ে পড়ছিল। আট বছরের সন্তানকে হারিয়ে পুনরায় মা হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে যে রীতাকে এমন সমস্যায় পড়তে হবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। তারপরেও তিনি মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন। নীলরতন মেডিক্যাল কলেজে তার চিকিৎসা করেন ডা. পল্লব কুমার মিস্ত্রি এবং ডা. প্রিয়দর্শী মণ্ডল। ডা. পল্লব কুমার মিস্ত্রি জানান, রীতার শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে বর্তমানে প্রসূতি এবং তাঁর যমজ সন্তান সুস্থ রয়েছে।