কৃষকের সন্তান, IIT প্রাক্তনী-কে এই তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী সামিরুল ইসলাম

রাজ্যসভায় সোমবার প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সেখানে নতুন মুখ রয়েছে ৩ জনের। যার মধ্যে সবচেয়ে চর্চায় রয়েছে বীরভূমের কৃষক পরিবারের সন্তান এবং সমাজকর্মী সামিরুল ইসলাম। তিনি কর্মসূত্রে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি একজন অরাজনৈতিক সংগঠক। সোমবার রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে নাম রয়েছে সামিরুলের। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লাসে মেতে উঠেছে বীরভূমসহ রাজ্যবাসী।

আরও পড়ুন: ‘আমার অরাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড’, তৃণমূলের রাজ্যসভার টিকিট পাওয়া সাকেত গোখলে কে?

ব্যক্তিগতভাবে সামিরুল কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। অধ্যাপনার পাশাপাশি তাঁর স্বপ্ন অনগ্রসর শ্রেণিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিপদে আপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সংস্কৃতি মঞ্চ গড়ে তুলেছেন। ১০ বছর ধরে রয়েছে তাঁর এই সংগঠন। সমাজসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত সামিরুল। লকডাউন পর্বে তিনি বীরভূমের মহম্মদ বাজারের পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি তাঁদের নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ‘নট টু ভোট বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, বহু আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সামিরুল। এনআরসি, কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকেছেন। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্যবাহী মেলা চালু করেছিলেন এই সামিরুল। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি রাজ্যসভায় বাংলার মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরব। মানুষের কণ্ঠস্বর হব। আমাকে খুব বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করব।’ সামিরুলের কথায়, ‘আমি পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য রাজ্য করতে চাই।মানুষের উন্নয়নে আমি রাজ্যসভায় সমস্যার কথা তুলে ধরব।’

উল্লেখ্য ১৯৮৭ সালে বীরভূমের হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের দুনিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সামিরুল। দুনিগ্রাম হাইস্কুলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার পর রামপুরহাট হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কলকাতায় যান। মণিন্দ্র নন্দী কলেজ থেকে তিনি রসায়নে স্নাতক হন। পরে দিল্লি আইআইটি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর হন। বর্তমানে তিনি গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের রসায়নের অধ্যাপক। অধ্যাপনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত।