AI মানুষের চাকরি খাবে না, আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভারতের মানুষের চাকরির বাজার খেয়ে ফেলবে, এমন আশঙ্কা কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন রাজীব চন্দ্রশেখর। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভারতের ছেলেমেয়েদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে বাজার চলতি মন্তব্যগুলি কেবলই ‘বকওয়াস’ বা, বাজে কথা!  ইলেকট্রনিক্স, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্দিষ্ট কাজকে ফোকাস করে তা সম্পন্ন করে এবং কাজগুলি আরও দক্ষতার সাথে সামলায়, কিন্তু তা মানুষের আচরণকে অনুকরণ করে। মানুষের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এআই-এর কোনও ভূমিকা বা গুরুত্বই নেই। 

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৯৯ সালে আমি শুনেছিলাম ইয়ার অফ টু থাউজেন্ট বাগ (Y2K), অর্থাৎ অত্যাধুনিক সফট ওয়ার প্রোগ্রামিং মানুষের কাজ খেয়ে ফেলবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তারপর আমি শুনলাম এআই আমাদের কাজ শেষ করে দেবে। এমন অনেকে আছেন যারা নতুন কিছু উদ্ভাবনের সময়েই বিভ্রাটের আশঙ্কা করেন। এআই আমাদের কাজ শেষ করে দেবে এমন কথা অন্তঃসার শূন্য, অর্থহীন, মিথ্যা বকওয়াস।’ প্রসঙ্গত ১৯৯৯-২০০০ সালের সময়পর্বে বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের যে জোয়ার দেখা দিয়েছিল, তাকেই Y2K বলা হয়।  

তিনি বলেছিলেন যে সরকার একটি ডেটা সেট প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করছে, যেখানে সরকারি বেনামী ডেটা ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষক এবং স্টার্ট-আপগুলির কাছে উপলব্ধ করা হবে। এই বিষয়ে দুটি আলোচনা এখনও পর্যন্ত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সরকার ডেটা সেট প্রোগ্রামের সম্পূর্ণ বিষয়টি ঘোষণা করবে। ভারতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সম্পর্কে, তিনি বলেছিলেন যে সরকার একটি সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম তৈরির কাজে হাত দিয়েছে, যা তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে চলে আসবে বলেই সূত্রের খবর। তিনি বলেন আজ থেকে ১৮ মাস আগে একটিও সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনে নিযুক্ত স্টার্ট আপ কোম্পানি ছিল না, কিন্তু আজ আমাদের কাছে এই ধরনের প্রায় ৩০টি স্টার্ট আপ আছে। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন আমাদের জন্য একটি যুগান্তকারী বিষয়, কারণ ২০১৪ সালের আগে ইলেকট্রনিক্স শিল্পের অস্তিত্ব ছিল না এবং আমরা ছিলাম আমদানি নির্ভর। কিন্তু এখন ভারত ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের ভারতে একটি সম্পূর্ণ বিশ্ব-মানের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম নির্মাণ করতে পারবে।’