BJP Rajya Sabha Candidate Anant Maharaj: পড়ল সিলমোহর, বাংলা থেকে BJP-র রাজ্যসভা প্রার্থী পৃথক রাজ্য চাওয়া অনন্ত মহারাজ

মঙ্গলের সকালে তখন বাংলার রাজনীতির সবথেকে বড় আলোচ্য বিষয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। চলছে ভোটের গণনা। সেই সময়ই গ্রেটার কোচবিহারের দাবি জানানো অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। শুরু হয় জল্পনা। পরে নিশীথ নিজেই জানান, দিল্লি থেকে বার্তা পেয়ে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার জন্য অনন্ত মহারাজকে প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন তিনি। নিশীথ এও জানান যে অনন্ত মহারাজ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। আর আজ সরকারি ভাবে অনন্ত মহারাজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল বিজেপি। এদিকে এই প্রথম বাংলা থেকে কোনও প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে বিজেপি।

উল্লেখ্য, পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব রাজবংশী সমাজের নেতা অনন্ত মহারাজ। এদিকে ২০১৮ সালের পর উত্তরবঙ্গে যে জমি বিজেপি নিজেদের পায়ের তলায় পেয়েছিল, তা ক্রমেই আলগা হচ্ছে। এরই মাঝে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিজেপির সাংসদ বিধায়কদের অনেকে। যদিও বঙ্গ বিজেপি পৃথক রাজ্যের পরিপন্থী বলেই জানিয়ে এসেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিচ্ছিনতাবাদী’ রাজনীতির অভিযোগ রয়েছে। মণিপুরেও বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি পৃথক রাজ্যের ‘উস্কানি’ দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে নিজেদের জমি ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এই আবহে বিশ্লেষকদের মত, রাজবংশী ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতেই অনন্তকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছে বিজেপি। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই বাংলায় রাজ্যসভার ৭টি আসনে নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ১৩ জুলাই মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। নিজেদের আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূলও। তৃণমূলও উত্তরবঙ্গ থেকে একজনকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে এবার। তৃণমূলের তরফে এবারে টিকিট দেওয়া হয়েছে ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, সমিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সাকেত গোখলেকে (উপনির্বাচনে)। তাঁদের মধ্যে প্রকাশ হলেন আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূলের সভাপতি। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে আলিপুরদুয়ারে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। সেই জেলার জেলা পরিষদের ১৮টির মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী তৃণমূল। এর আগে ২১-এর বিধানসভা ভোটে এই জেলার ৫টি বিধানসভা আসনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এদিকে কোচবিহারের ৩৪টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী ৩২টিতে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসনে।